Rail Ticket Counter in Bihar

বিহারের স্টেশন থেকে রোজ টিকিট ছাড়াই ট্রেনে চাপতে বাধ্য হন হাজার হাজার যাত্রী

২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ছাপড়া জেলায় এই মানঝি স্টেশন উদ্বোধন করে ভারতীয় রেল। ছাপড়া-বালিয়া বিভাগের ট্রেনগুলি এই স্টেশনে থামে। প্রতি দিন সেই ট্রেনে ওঠানামা করেন অন্তত হাজার জন যাত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৪২
Share:

বিহারের এই মানঝি স্টেশনে নেই টিকিটঘর। ছবি: সংগৃহীত।

প্রতি দিন বেশ কয়েকটি ট্রেন থামে বিহারের ছাপড়ার মানঝি স্টেশনে। সেখানে ওঠানামা করেন অন্তত হাজার জন যাত্রী। বেশির ভাগেরই টিকিট থাকে না। কারণ, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এই মানঝি স্টেশন চালু হলেও সেখানে টিকিটঘর এখনও চালু হয়নি। ফলে টিকিট না-কেটেই ট্রেনে চাপেন বেশির ভাগ যাত্রী। কেউ কেউ পাশের স্টেশন থেকে কিনে নেন টিকিট। তবে সেই সংখ্যাটা কম। রেলের একটি সূত্র বলছে, টিকিট বিক্রির অনুমোদন এখনও দেননি কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ছাপড়া জেলায় এই মানঝি স্টেশন উদ্বোধন করে ভারতীয় রেল। ছাপড়া-বালিয়া বিভাগের ট্রেনগুলি এই স্টেশনে থামে। প্রতি দিন সেই ট্রেনে ওঠানামা করেন অন্তত হাজার জন যাত্রী। কিন্তু স্টেশনে টিকিটঘর বন্ধ থাকায় টিকিট ছাড়াই ট্রেনে চাপতে বাধ্য হন তাঁরা। টিকিট পরীক্ষকের হাতে ধরা পড়লে জরিমানা ও জেল হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সেই কারণে কেউ কেউ পরের স্টেশনে গিয়ে টিকিট কিনে নেন। তবে বেশিরভাগ যাত্রীর ক্ষেত্রেই তা সম্ভব হয় না।

এই মানঝি স্টেশন দিয়ে নিত্য যাতায়াত করেন অঙ্কিতকুমার সিংহ। তিনি সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ ১৮’-কে বলেন, ‘‘২০২৩ সালে স্টেশন তৈরি হলেও এখনও টিকিট কাটার ব্যবস্থা নেই। যাত্রীরা টিকিট না-কেটেই ট্রেনে উঠতে বাধ্য হন। পরের স্টেশনে গিয়ে আবার টিকিট কেনেন। তার মাঝে ট্রেনে কোনও টিকিট পরীক্ষক উঠলে হেনস্থার শিকার হতে হয় সেই যাত্রীদের।’’ তিনি জানিয়েছেন, ডিআরএম-কে এই নিয়ে চিঠি দিয়েও লাভ হয়নি। রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন মিলছে না-বলেই চালু করা যায়নি টিকিটঘর। উপরতলার নির্দেশিকা এলেই টিকিট বিক্রি চালু করা হবে বলে আশ্বাস ওই আধিকারিকের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement