সেন্টিনেলিজ জনজাতির তিরের আঘাতে নিহত মার্কিন নাগরিক জন অ্যালেন চাউয়ের মৃতদেহের এখনও সন্ধান মেলেনি। ছবি: এপি।
হেলিকপ্টারে আন্দামানের নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপের উপরে চক্কর দিচ্ছে পুলিশ। জাহাজ থেকেও চলছে দূরবিনে তল্লাশি। কিন্তু সেন্টিনেলিজ জনজাতির তিরের আঘাতে নিহত মার্কিন নাগরিক জন অ্যালেন চাউয়ের মৃতদেহের কোনও সন্ধান মেলেনি। ইতিমধ্যেই হেফাজতে নেওয়া জনের বন্ধু অ্যালেকজান্ডারকেও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু দ্বীপের ৫ কিলোমিটার জলসীমার মধ্যে যাওয়া যে-হেতু বারণ, তাই দেহ উদ্ধারে পুরোদস্তুর নামার আগে নৃতত্ত্ববিদ ও জনজাতি উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে চাইছে তারা।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, হাজার হাজার বছর ধরে ওই দ্বীপের বাসিন্দা সেন্টিনেলিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বলে কিছু নেই। তাই বাইরে থেকে জীবাণু এলে তা প্রাণঘাতী হতে পারে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার শর্তসাপেক্ষে আন্দামান-নিকোবরের ২৯টি দ্বীপে বিদেশিদের যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে বলে খবর। বিতর্ক চলছে তা নিয়েও। যাবতীয় বাহিনীর চোখ এড়িয়ে জনের ওই দ্বীপে পৌঁছনো নিয়েও সরব পরিবেশবিদেরা।
জন ডায়েরিতে লিখেছিলেন, ‘‘ঈশ্বর আমাদের যাবতীয় নজরদারি থেকে লুকিয়ে রেখেছেন।’’ নর্থ সেন্টিনেলের অদূরে সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে তাঁর মনে হয়েছিল, হয়তো এই শেষ সূর্যাস্ত দেখছেন। ডায়েরির শেষ দিকে লিখেছিলেন, ‘‘ঈশ্বর, এটাই শয়তানের শেষ ঘাঁটি নয়তো? যেখানে কেউ কখনও কোনও দিন তোমার নামই শোনেনি!’’