ভোট-বার্তা: শিলংয়ের সভায় নরেন্দ্র মোদী। শনিবার। ছবি: পিটিআই।
উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একশো শতাংশ কেন্দ্রীয় সাহায্যপুষ্ট পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ঘোষণা করলেন। আজ মিজোরামে ‘নর্থ-ইস্ট স্পেশাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট স্কিম’ ঘোষণা করে মোদী বলেন, ‘‘উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে জল, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো সামাজিক পরিকাঠামো গড়াই মূল লক্ষ্য।’’ এবং এই প্রকল্পে রাজ্য সরকারকে এক পয়সাও দিতে হবে না। সবটাই দেবে কেন্দ্র।
তবে ‘নন-ল্যাপসেবল সেন্ট্রাল পুল অফ রিসোর্সেস’-এর অন্তর্ভূক্ত এই অঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে বর্তমানে চালু প্রকল্পগুলিতে আগের মতোই ১০ শতাংশ টাকা রাজ্যকে বরাদ্দ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ৯০ শতাংশ টাকা আগের মতোই বরাদ্দ করবে। এই ধরণের প্রকল্পগুলিতে আগে ১০০ শতাংশ টাকাই কেন্দ্র বহন করত। এই উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধে। কার্যত সেই ক্ষোভকে প্রশমিত করতেই আজ প্রধানমন্ত্রী নতুন পরিকাঠামো প্রকল্পের কথা ঘোষণা করলেন।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই মিজোরাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আজ প্রধানমন্ত্রী মেঘালয় ও মিজোরাম সফর করেন। মেঘালয়ে ২৩১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ শিলং-নংস্টোইন-তুরা সড়কের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। মিজোরামের তুইরিয়াল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পেরও তিনি উদ্বোধন করেন। ৬০ মেগাওয়াটের এই প্রকল্প চালু হওয়ার ফলে মিজোরাম বিদ্যুৎ-উদ্বৃত্ত রাজ্যগুলির তালিকায় চলে এল।
দুই রাজ্যেই কার্যত বিধানসভা ভোটের ঢাকে কাঠি দিয়ে প্রচার শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী সোমবার গুজরাত ও হিমাচলে ভোটের ফল ঘোষণা হবে। তার আগে, গত বৃহস্পতিবার বুথ ফেরত সমীক্ষায় দুই রাজ্যেই বিজেপির ফিরে আসার ইঙ্গিত মিলেছে। ফলে ফুরফুরে মেজাজেই আজ ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেস শাসিত মেঘালয় ও মিজোরামই এখন তাঁর লক্ষ্য। সে কারণেই রাজ্য ভিত্তিক এক গুচ্ছ প্রকল্পও তিনি এ দিন ঘোষণা করেন। গুজরাত ভোটের আগে যে সি-প্লেন নিয়ে তিনি বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন, সেই সি-প্লেনকেই টেনে আনলেন শিলংয়ের ‘প্রচার-সভায়’। বললেন, “আমি কয়েকদিন আগে গুজরাতে সি-প্লেনের ট্রায়াল দিলাম। এখানকার পর্যটনেও তার সম্ভাবনা কিন্তু দারুণ।”