সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আনসারির খোঁচা, পাল্টা বেঙ্কাইয়ারও

এমন সন্ধিক্ষণেও বিরল চাপানউতোর দেখছে নয়াদিল্লি। রাষ্ট্রপতি পদ থেকে বিদায়ের আগে একাধিক বার সুকৌশলে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে সহিষ্ণুতার পাঠ দিয়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৭ ০৩:৩০
Share:

পালাবদল: আড়ালে টানাপড়েন, প্রকাশ্যে সৌজন্য। হামিদ আনসারির বিদায় সংবর্ধনায় তাঁর সঙ্গে বেঙ্কাইয়া নায়ডু। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

‘প্রাক্তন’ হয়ে যাওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে এক জন উদ্বেগ জানাচ্ছেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে। আর তাঁর উত্তরসূরি সেই অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করছেন, গোটা বিশ্বের নিরিখে ভারতেই সংখ্যালঘুরা বেশি নিরাপদ।

Advertisement

প্রথম জন, হামিদ আনসারি। দ্বিতীয় জন, বেঙ্কাইয়া নায়ডু। আগামিকাল উপরাষ্ট্রপতি পদে যাঁর শপথ।
এমন সন্ধিক্ষণেও বিরল চাপানউতোর দেখছে নয়াদিল্লি। রাষ্ট্রপতি পদ থেকে বিদায়ের আগে একাধিক বার সুকৌশলে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে সহিষ্ণুতার পাঠ দিয়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। উপরাষ্ট্রপতি তুলনায় যথেষ্ট চাঁছাছোলা ভাষাতেই গত কাল রাজ্যসভা টিভির সাক্ষাৎকারে বলেছেন— ‘‘গণপিটুনিতে খুন, ‘ঘর-ওয়াপসি’, যুক্তিবাদীদের হত্যা, গোমাংসে নিষেধাজ্ঞার মতো ঘটনা শুধু যে ভারতীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী তা-ই নয়, এর ফলে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতাও ভেঙে পড়ে। অসহিষ্ণুতা, স্বঘোষিত আইনরক্ষকদের দাপটে মুসলিমদের মধ্যে অস্বস্তি ও নিরাপত্তার অভাববোধ দেখা দিচ্ছে।’’

আরও পড়ুন: বর্ণিকা কাণ্ডের ছায়া গুরুগ্রামে

Advertisement

রাজ্যসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘‘ভারতীয়ত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। রোজ জাতীয়তাবাদের বড়াই করার তো দরকার নেই। আমি ভারতবাসী। ব্যস্।’’ আনসারি জানান, এ তাঁর একার বক্তব্য নয়। অসহিষ্ণুতার সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের জানিয়েছেন তিনি। আজ রাজ্যসভায় নিজের বিদায়ী সংবর্ধনাতেও সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণকে উদ্ধৃত করে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ তোলেন আনসারি।

পরোক্ষে এরই জবাব দিয়েছেন বেঙ্কাইয়া। বলেছেন, ‘‘অনেকে বলেন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নেই। এটি রাজনৈতিক প্রচার। সহিষ্ণুতা আছে বলেই গণতন্ত্র এত সফল।’’ বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় যদিও রাখঢাক না করেই বলেন, ‘‘অবসরের পরে রাজনীতির মঞ্চ খুঁজছেন উনি। তাই এমন কথা বেরোচ্ছে।’’ বিজেপির বক্তব্য, পদের মর্যাদা বজায় রাখতে হয়। সেই কারণেই আজ মোদী বা অরুণ জেটলিরা উপরাষ্ট্রপতির সমালোচনা থেকে বিরত থেকেছেন।

কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, সমাজবাদী পার্টির নরেশ অগ্রবালদের বক্তব্য, উপরাষ্ট্রপতির মন্তব্য নিয়ে ভেবে দেখা দরকার। অসহিষ্ণুতা প্রসঙ্গে তিনি বহুদিনই সরব। এটি নতুন কোনও বিষয় নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement