প্রতীকী ছবি।
এনআরসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, এনআরসির চূড়ান্ত খসড়ায় ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য ১৫ নভেম্বর থেকে অনলাইন পোর্টাল চালু হবে। তার জন্য ১৩-১৪ নভেম্বর বিশেষ প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু আজও পোর্টাল চালু হয়নি। ভুগছেন মানুষ। এই অবস্থায় এনআরসি-র সমন্বয়কারী আমলা প্রতীক হাজেলা জানালেন, আগামিকাল বা সোমবার থেকে ওই অনলাইন পোর্টাল চালু হবে৷
বরাক উপত্যকা বঙ্গসাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের তরফে সব্যসাচী রায় বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে হাজেলা জানান, পোর্টাল চালু হতে দেরি হওয়ার জন্য উৎকণ্ঠিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। ১৫ ডিসেম্বর কেবল আবেদন জমা করার অন্তিম দিন৷ সংশোধন প্রক্রিয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে৷
অনলাইন ব্যবস্থা চালু না হওয়ায় সেবাকেন্দ্রে গিয়ে সংশোধনী ফর্ম জমা দিতেও বিভ্রান্ত হতে হচ্ছে। পুরো নভেম্বর মাসে সংশোধনের ফর্ম দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন সেবাকেন্দ্রে কর্মরতরা ভিন্ন ভিন্ন জবাব দিয়েছেন। কিছু দিন ধরে অবশ্য সংশোধনের ফর্ম বিলি শুরু হয়েছে। এ বার জমা করা নিয়েও সমস্যা। কোনও সেবাকেন্দ্রে জমা নেওয়া হচ্ছে। কোথাও বলা হচ্ছে, সংশোধনের ফর্ম জমা নেওয়ার নির্দেশ আসেনি।
খসড়াছুট ৪০ লক্ষ। খসড়ায় নাম উঠেছে যাঁদের, তাঁদের কত জনের ক্ষেত্রে ভুল-ত্রুটি রয়েছে, সংখ্যাটা জানা যায়নি। তবে সংখ্যাটি খসড়া-ছুটদের চেয়ে কম হবে না বলেই মনে করছেন অনেকে। বাঙলাভাষীদের অধিকাংশের তথ্য ভুলে ভরা। অসমিয়া সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলেই এমনটা হয়েছে। দুই জনগোষ্ঠীর বর্ণমালা প্রায় এক হলেও উচ্চারণগত ফারাক রয়েছে। যে কারণে সৌদামিনী হয়েছে ছৌদামিনী, সুমিত হয়ে আছে চুমিত। ডেটা আপলোডের সময়ও নানা ধরনের ভুল হয়েছে। সাধারণ মানুষ উদ্বেগে, ভুল থেকে গেলে কখন আবার সেগুলি খারিজ হয়ে যায়! কিন্তু কবে সংশোধন হবে, সু্প্রিম কোর্টের দেওয়া ১৫ ডিসেম্বরের সময় যে ফুরিয়ে আসছে! তাই এত দিন যাঁরা আশায় ছিলেন, অনলাইন চালু হলে নিজের হাতে ভুল শুধরে দেবেন, তাঁরা ছুটছেন সেবাকেন্দ্রে। হাজেলার আশ্বাস মতো পোর্টাল চালু হলে এই ভোগান্তি কিছুটা কমবে।