Bribery Case

ওড়িশায় গ্রেফতার সিভিল সার্ভিস ‘টপার’! ধরা পড়লেন ঘুষ নেওয়ার সময়, বাড়ি থেকে উদ্ধার কয়েক লক্ষ টাকা

ধৃত ওই সরকারি আধিকারিকের নাম অশ্বিনী কুমার পান্ডা। তিনি ওড়িশা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ‘টপার’। সম্বলপুরের বামরায় তহসিলদারের পদে কর্মরত ছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:০১
Share:

অভিযুক্ত তহসিলদার অশ্বিনী কুমার পান্ডা। ছবি: সংগৃহীত।

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠল ওড়িশার সিভিল সার্ভিস ‘টপার’-এর বিরুদ্ধে। ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন ভিজিল্যান্সের আধিকারিকদের হাতে। শুক্রবার ওই আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্বলপুরের ঘটনা।

Advertisement

ধৃত ওই সরকারি আধিকারিকের নাম অশ্বিনী কুমার পান্ডা। তিনি ওড়িশা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ‘টপার’। সম্বলপুরের বামরায় তহসিলদারের পদে নিযুক্ত ছিলেন। রাজ্য ভিজিল্যান্স সূত্রে জানানো হয়েছে, এক ব্যক্তি কৃষিজমিকে বাস্তুজমিতে বদলানোর জন্য তহসিলদার অশ্বিনী কুমারের কাছে গিয়েছিলেন। ভিজিল্যান্সের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তি যখন তহসিলদারের কাছে আবেদন করেন, তখন তাঁর কাছে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চান বলে অবিযোগ। কিন্তু ওই ব্যক্তি তহসিলদারের কাছে আবেদন করেন যে, যে পরিমাণ টাকা তাঁর কাছে দাবি করা হচ্ছে, তা দেওয়ার মতো ক্ষমতা তাঁর নেই।

ভিজিল্যান্স সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তি যখন তহসিলদারকে জানান, এত টাকা দিতে পারবেন না, তখন তাঁকে বলা হয় ১৫ হাজার টাকা দিলেই কাজ হয়ে যাবে। অভিযোগ, যদি এই টাকাটাও দিতে না পারে, তা হলে কোনও ভাবেই কাজ করা সম্ভব নয়। তহসিলদারের এই ভূমিকায় বিরক্ত হয়ে ওই ব্যক্তি রাজ্য ভিজিল্যান্স দফতরে অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগ পেয়ে তহসিলদারকে হাতেনাতে ধরার জন্য ফাঁদ পাতে ভিজিল্যান্স। অভিযোগকারী ব্যক্তি তাঁর গাড়িচালককে দিয়ে ১৫ হাজার টাকা তহসিলদারের কাছে পাঠান। সেই সময়েই তহসিলদারকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন ভিজিল্যান্সের আধিকারিকেরা।

Advertisement

তার পরই ভিজিল্যান্সের একটি দল তহসিলদারের দু’টি বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায়। তল্লাশি চালানোর সময় তহসিলদারের বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করেন ভিজিল্যান্সের আধিকারিকেরা। তহসিলদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, তহসিলদার অশ্বিনী কুমার মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক করেন। ২০১৯ সালে ওড়িশা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেন। সেই পরীক্ষায় তিনি শীর্ষস্থান অর্জন করেন। তার পর ট্রেনিং রিজার্ভ অফিসার হিসাবে কাজে যোগ দেন ২০২১ সালে। তার পর ময়ূরভঞ্জ জেলার সামাখুঁটার তহসিলদার হিসাবে নিযুক্ত হন। পরে বদলি হয়ে সম্বলপুরে আসেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement