বিরোধী মহাজোটে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে গত কাল দিল্লিতে বলেছিলেন, ‘‘সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগবে।’’ তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নবীন পট্টনায়ক জানিয়ে দিলেন, রাহুল গাঁধীদের শিবিরে তিনি নেই। আজ ভুবনেশ্বরে এক বৈঠকের ফাঁকে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘স্পষ্ট করে দিই, বিজু জনতা দল মহাগঠবন্ধনের শরিক নয়। বিজেপি এবং কংগ্রেসের থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখার দলীয় নীতি মেনেই আমরা চলব।’’
নবীনের এই ঘোষণায় কিছুটা হলেও ধাক্কা লাগল সম্ভাব্য জোটের মঞ্চে। এ কথা ঠিক যে, নবীনের দল বিজেপিরই প্রাক্তন জোটসঙ্গী। ২০০৯ সালের লোকসভায় এনডিএ ছেড়ে একা লড়ে ভাল ফল করেছিলেন নবীন। কিন্তু ২০১৪-য় মোদী-ঝড়ে ওড়িশায় মাত্র একটি আসন পেয়েছিল নবীনের দল। এর পরেও রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনের সময়ে খোদ নরেন্দ্র মোদীর অনুরোধে এনডিএ প্রার্থী হরিবংশনারায়ণ সিংহকে সমর্থন করেছিল বিজেডি। নবীন নিজে এ যাবৎ বিরোধীদের বৈঠকগুলি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়েই রেখেছিলেন।
বিরোধী জোটের অস্বস্তি বাড়িয়েই তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও সম্প্রতি অ-কংগ্রেস, অ-বিজেপি ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ার লক্ষ্যে নবীন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। বিরোধীদের অনেকেই তখন অভিযোগ করেন যে, বিজেপির দূত হিসেবেই জোটে ফাটল ধরাতে নেমেছেন রাও। নবীনের ঘোষণায় নিঃসন্দেহে জোরালো হল অভিযোগ।