Odisha Recruitment Scam

ওড়িশায় পুলিশের ‘চাকরি বিক্রি’: নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত, কী যোগসূত্র রয়েছে ধৃতের?

অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর থেকে শঙ্করের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অভিযুক্ত ঘন ঘন ঠিকানা বদল করে যাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত নেপাল সীমান্তের কাছে একটি জায়গা থেকে তাঁকে পাকড়াও করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:০০
Share:

ওড়িশায় পুলিশের ‘চাকরি বিক্রি’-র মামলায় মূল অভিযুক্ত শঙ্কর প্রুস্টি গ্রেফতার। —প্রতীকী চিত্র।

প্রায় এক মাস ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। অবশেষে ধরা পড়লেন ওড়িশায় পুলিশ নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় মূল অভিযুক্ত শঙ্কর প্রুস্টি। শনিবার উত্তরাখণ্ডে ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী এলাকায় স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে এক যৌথ অভিযানে তাঁকে গ্রেফতার করে ওড়িশা পুলিশ।

Advertisement

গত ২৭ সেপ্টেম্বর ওড়িশায় পুলিশের চাকরি ‘বিক্রি’র অভিযোগটি প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ, প্রায় ৩০০টি পদে নিয়োগের জন্য চাকরি বিক্রি করার চেষ্টা হয়েছিল। ওই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছিল ওড়িশা পুলিশের অপরাধদমন শাখা। তদন্তে দেখা যায়, নকল অ্যাডমিট কার্ড তৈরি করে পরীক্ষার্থীদের একাংশের পরীক্ষার জায়গা বদলে দেওয়া হয়েছিল।

তদন্তকারীদের একাংশকে উদ্ধৃত করে ওড়িশার সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীরা টাকা দেওয়ার পরেই তাদের ভুয়ো অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হত। এমন জায়গায় তাদের পরীক্ষা ফেলা হত, যেখানে ওই পরীক্ষার্থীরা কারচুপির প্রয়োজনীয় সুযোগসুবিধা পান। তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে এর মূল চক্রী হিসাবে উঠে আসে প্রুস্টির নাম। ওড়িশায় পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আয়োজনের বরাত পেয়েছিল শঙ্করের সংস্থা ‘পঞ্চসফ্ট টেকনোলজিস’।

Advertisement

ওড়িশা পুলিশের অপরাধদমন শাখা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর থেকে শঙ্করের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ডিএসপি অনিলা আনন্দের নেতৃত্বে তদন্তকারীদের একটি দল শঙ্করের টানা খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছিল। অভিযুক্ত ঘন ঘন ঠিকানা বদল করে যাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত নেপাল সীমান্তের কাছে একটি জায়গা থেকে তাঁকে পাকড়াও করা হয়।

তদন্তকারীদের সন্দেহ, এই চাকরি ‘বিক্রি’-কাণ্ডে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। এই মামলার তদন্তে শঙ্কর-সহ এখনও পর্যন্ত মোট ১২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ১১৪ জন চাকরিপ্রার্থীও রয়েছেন। যদিও সম্প্রতি ওই চাকরিপ্রার্থীরা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রযুক্তিগত কারচুপি করে শঙ্কর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই একাধিক ‘মিডলম্যান’-এর যোগসূত্রও পাওয়া যায়।

রবিবার দিল্লি থেকে তাঁকে ওড়িশার ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়েছে। বিমানবন্দর চত্বরে শঙ্কর দাবি করেন, এই দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। তিনি বলেন, “আমার এই দুর্নীতিতে কোনও যোগ নেই। আমি ইতিমধ্যে ওড়িশা হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। আমি নিশ্চিত যে আমি জামিন পেয়ে যাব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement