Delhi Blast

আল-ফালাহ্‌কে স্বীকৃতিই দেয়নি এনএএসি! দিল্লি বিস্ফোরণে নাম জড়ানো বিশ্ববিদ্যালয়কে শোকজ় নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় সংস্থা

শোকজ় নোটিসে ন্যাক জানিয়েছে, নিজেদের ওয়েবসাইটে আল-ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া এই তথ্য ‘ভুল’। পড়ুয়া, অভিভাবক, অংশীদারদের ভুলপথে তা চালিত করছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:৪৬
Share:

তদন্তকারীদের নজরে এখন ফরিদাবাদের আল-ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: পিটিআই।

দিল্লি বিস্ফোরণের পরেই তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়। এ বার সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে কারণ দর্শানোর (শোকজ়) নোটিস পাঠাল ন্যাক (ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিশন কাউন্সিল)। অভিযোগ, নিজেদের ওয়েবসাইটে অনুমোদনের মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ন্যাক তাদের কোনও অনুমোদন দেয়নি।

Advertisement

আল-ফালাহ্কে পাঠানো শোকজ় নোটিসে ন্যাক লিখেছে, ‘ওই কলেজ কখনও অ্যাক্রিডেশন (স্বীকৃতি)-এর জন্য আবেদন করেনি। তাকে স্বীকৃতি দেয়নি ন্যাক’। তারা আরও জানিয়েছে, ওই কলেজের ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে, ‘আল-ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয় আল-ফালাহ্‌ দাতব্য ট্রাস্টের উদ্যোগে তৈরি। এর ক্যাম্পাসে তিনটি কলেজ চালানো হয়— আল ফালাহ্‌ স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (১৯৯৭ সাল থেকে রয়েছে। ন্যাক ‘এ’ গ্রেড দিয়েছে), ব্রাউন হিল কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (২০০৮ সাল থেকে), আল-ফালাহ্ স্কুল অফ এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (২০০৬ সাল থেকে রয়েছে, ‘এ’ গ্রেড দিয়েছে ন্যাক)।’

শোকজ় নোটিসে ন্যাক জানিয়েছে, নিজেদের ওয়েবসাইটে আল-ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া এই তথ্য ‘ভুল’। পড়ুয়া, অভিভাবক, অংশীদারদের ভুলপথে তা চালিত করছে। এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা তলব করেছে ন্যাক। তাদের স্বীকৃতি নিয়ে যে তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে দিয়েছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়, তা দ্রুত সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে।

Advertisement

সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লার কাছে একটি গাড়ির মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ওই ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ১৩ জনের। আহত বহু। এই ঘটনার তদন্তে নেমে তিন জন চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা কোনও না কোনও ভাবে জড়িত ছিলেন আল-ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। ধৃত মুজ়াম্মিল আহমেদ এবং শাহিন শহিদ ওই হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। শ্রীনগরে জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার সাঁটানোর অভিযোগে ধৃত আদিল মাজ়িদ রাথরের সঙ্গেও যোগ রয়েছে আল-ফালাহ্‌ মেডিক্যাল কলেজের। তার পরেই তদন্তকারীদের আতশকাচের নীচে ওই বিশ্ববিদ্যালয়। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মুজ়াম্মিলেরা গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই ওই কলেজের পড়ুয়া বা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তটস্থ হয়ে আছেন। ওই মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়াদের দাবি, শুধু মুজ়াম্মিল নন, শাহিন বা আদিলের সম্পর্কেও অবগত ছিলেন না। এখন তাঁদের একটাই চিন্তা, এমবিবিএস শেষ করার পর চাকরি জোটাতে পারবেন তো? কেউ তাঁদের বিশ্বাস করবে তো?

১৯৯৭ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসাবে আল-ফালাহ্‌-এর যাত্রা শুরু। ৭৬ একর জমির উপর গড়ে ওঠা কলেজটির সঙ্গে পরবর্তী সময়ে জুড়ে যায় মেডিক্যালও। গড়ে ওঠে হাসপাতাল। ২০১৯ সালে আল-ফালাহ্‌ মেডিক্যাল কলেজে স্নাতক ডিগ্রি শুরু হয়। দু’বছর পর স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও চালু হয়। ২০১৪ সাল থেকে ‘আল-ফালাহ্‌ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর অধীনে কলেজটি পরিচালিত হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement