Red Fort Blast

উমর-মুজ়াম্মিলের মধ্যে বিরোধ ছিল টাকা নিয়ে! চার শহরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল আট জনের?

সূত্রের খবর, ধৃত তিন চিকিৎসক মুজ়াম্মিল আহমেদ, আদিল আহমেদ রাথর, শাহীন শাহিদের সঙ্গে মিলে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে অন্যতম সন্দেহভাজন উমর-উন-নবি ২৬ লক্ষেরও বেশি টাকা তুলেছিলেন। বিস্ফোরণের আগে উমরের হাতে সেই টাকা তুলেও দেওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:১২
Share:

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্তে পুলিশ। ছবি: পিটিআই।

দেশের বিভিন্ন শহরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ছক কষা হয়েছিল! নেপথ্যে ছিল আট জন। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ওই আট জনই দেশের অন্তত চারটি বড় শহরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিলেন! কী ভাবে ওই পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দেওয়া হবে, তার নীল নকশাও আঁকা হয়েছিল বলে দাবি তদন্তকারী সূত্রের।

Advertisement

দিল্লির লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের পর থেকেই গোটা দেশে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের নেপথ্যে কারা কারা ছিলেন, তার খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সূত্রে বেশ কয়েক জনকে আটক বা গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাঁদের জেরা করে উঠে আসছে নানা তথ্য।

তদন্তকারীদের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর খবর, দু’জন করে চারটি দলে ভাগ হয়ে অন্তত চার শহরে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন আততায়ীরা। প্রত্যেক দলে বেশ কিছু পরিমাণ আইইডি বিস্ফোরক বহন করার কথা ছিল।

Advertisement

সূত্রের খবর, ধৃত তিন চিকিৎসক মুজ়াম্মিল আহমেদ, আদিল আহমেদ রাথর, শাহীন শাহিদের সঙ্গে মিলে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে অন্যতম সন্দেহভাজন উমর-উন-নবি ২৬ লক্ষেরও বেশি টাকা তুলেছিলেন। বিস্ফোরণের আগে উমরের হাতে সেই টাকা তুলেও দেওয়া হয়। তবে টাকা নিয়ে মুজ়াম্মিলের সঙ্গে বিরোধ ছিল উমরের। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বিস্ফোরণের জন্য আরও দু’টি পৃথক গাড়ি তৈরি করেছিল। তাতে বিস্ফোরক বোঝাই করার পরিকল্পনা ছিল। তদন্তকারীরা এই বিষয়টাও খতিয়ে দেখছেন।

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এক যোগে তদন্ত করছে বেশ কয়েকটি এজেন্সি। লালকেল্লার সামনে একটি হুন্ডাই আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। চালকের আসনে ছিলেন উমর। তাঁরই একটা গাড়ি বুধবার হরিয়ানা থেকে পায় পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতেরা লাল রঙের ইকোস্পোর্ট গাড়িটিকেও নানা কাজে ব্যবহার করতেন। এমনকি, লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের পরে ওই গাড়ি নিয়ে আসা হয়েছিল হরিয়ানার গ্রামে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement