আমিত্বের অসুখ মোদীর, বিঁধলেন ওমর

সরকারের বর্ষপূর্তিতে এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা। চিন ও দক্ষিণ কোরিয়া সফরের সময়ে মোদীর বিতর্কিত কথাবার্তাকে টেনে এনে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘উনি আসলে আমিত্বের অসুখে ভুগছেন। সব সময়ে ভেবে চলেছেন, আমি, একাই সব কাজ করে ফেলেছি!’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৫ ০৩:৫৭
Share:

প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

সরকারের বর্ষপূর্তিতে এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা। চিন ও দক্ষিণ কোরিয়া সফরের সময়ে মোদীর বিতর্কিত কথাবার্তাকে টেনে এনে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘উনি আসলে আমিত্বের অসুখে ভুগছেন। সব সময়ে ভেবে চলেছেন, আমি, একাই সব কাজ করে ফেলেছি!’’

Advertisement

বিদেশে বিরোধী দলগুলিকে নিশানা করে বারবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মোদীকে। কিন্তু এ বার চিন সফরের সময়ে তাঁর মন্তব্য—এক বছর আগেও ভারতীয় হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা হতো, প্রবল সমালোচনার মুখে ফেলে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। ওমর এ দিন বলেন, ‘‘কেউ যদি বিদেশে গিয়ে নিজের বিরোধীদের নিশানা করতে গিয়ে দাবি করেন— উনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে দেশের মানুষ নিজেদের ভারতীয় ভাবতে লজ্জা পেতো, তা হলে সে সব কথা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। আসলে এটাই আমিত্বের রোগ।’’ মোদীকে আমেরিকার ভিসা না দেওয়ার প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন ওমর। তাঁর কটাক্ষ, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মোদী যখন বিদেশে যেতেন, উনি হয়তো অভিবাসন কর্মীদের কাছে নিজের ভারতীয় পাসপোর্ট দেখাতে লজ্জা পেতেন!

জম্মু-কাশ্মীরে ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় ওমরের হাত না ধরে মুফতি মহম্মদ সঈদের সঙ্গে সমঝোতায় গিয়েছেন মোদী। বিজেপি-টিডিপি সরকারে শরিকি সঙ্কট থাকলেও বিচ্ছেদের পরিস্থিতি নেই। এই সময়েই মোদীকে আক্রমণ করলেন মুফতির প্রতিপক্ষ ওমর আবদুল্লা। এ দিন আরও একটি বিষয়ে তাঁর সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের সংঘাত সামনে এসেছে। বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র জম্মুতে মন্তব্য করেছেন, বিজেপি অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের পক্ষে। কিন্তু সংবিধান সংশোধনের জন্য সংসদে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সাংসদ তাঁদের নেই। ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতার প্রতিক্রিয়া, অনুচ্ছেদ ৩৭০ না থাকলে কাশ্মীরও ভারতে থাকবে না।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন