গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
২৭ মার্চের বিতর্কিত নির্দেশ সংশোধন করল মণিপুর হাই কোর্ট। মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখার বিষয়ে ওই নির্দেশ যে অনুচ্ছেদে দেওয়া হয়েছিল, বৃহস্পতিবার তা মুছে ফেলা হয়েছে।
গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। ২৭ মার্চ মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয়েছিল সেখানে।
১০ মাস কেটে গেলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই বিজেপি শাসিত রাজ্যে অশান্তি থামেনি। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।
কুকি জনজাতি সংগঠনের তরফে গত অক্টোবরে হাই কোর্টে ওই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ‘বিতর্কিত’ অনুচ্ছেদটি বাদ দিয়েছে হাই কোর্ট। বিচারপতি গোলমেই গাইফুলসিলুর বেঞ্চ বলেছে, ‘আইনের ভুল ব্যাখ্যার কারণে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আবেদনকারী পক্ষ তাদের ভুল ধারণার কারণে আদালতের সামনে সঠিক ভাবে এ সংক্রান্ত আইন ব্যাখ্যা করতে পারেনি।’’ এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, কোনও জনগোষ্ঠীকে তফসিলি হিসাবে মর্যাদা দেওয়ার অধিকার আদালতের নেই।