বিধ্বস্ত শোণিতপুর। ছবি: সেনাবাহিনী
টানা বৃষ্টি ও অরুণাচলে নদীর স্লুইসগেট ভেঙে যাওয়ার ফলে আবারও ভাসল শোণিতপুর, ধেমাজি, লখিমপুর। সেই সঙ্গে মরিগাঁও ও নগাঁও জেলাতেও চলছে বন্যা। শনিবার রাত থেকে তোড়ে জল ঢুকছে চারিদুয়ার এলাকায়। জিয়াভরালির জলে প্লাবিত ভালুতপং। বালিপাড়া, রাঙাপাড়ার বহু গ্রামও জলে ডুবে গিয়েছে। ডুবে যায় তেজপুর-লখিমপুর সড়কও। ১৫ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বইতে থাকে বন্যার জল। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। উলুবাড়িতে জলে ভেসে গিয়েছেন দিগন্ত দাস এক যুবক। রঙাপাড়া-মোলানগাঁও সংযোগকারীও সেতুও ভেঙে গিয়েছে। শোণিতপুর বালিপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জল ঢুকে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রোগীরা। বন্যায় আটকে পড়া ছয় নবজাতক ও অন্যান্য রোগীদের উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। নগাঁও, কলিয়াবরেও বহু এলাকা এখনও জলমগ্ন। চিরাং জেলার বিজনিতে বুড়ি সুঁতি নদীর তোড়ে ভেসে যায় একটি সেতু। ঢেকিয়াজুলির বরসলায় জলে পড়ে ললিতা নাথ নামে ১০ বছরের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ উদ্ধারকাজে নেমেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বন্যা পরিস্থিতি তদারকে বালিপাড়ায় গিয়েছেন মন্ত্রী পল্লবলোচন দাস।
আরও পড়ুন, মোবাইল কানেকশনে আধার যোগ করতে হবে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই