recite the Constitution

ব্রিগেডের গীতাপাঠের পাল্টা কর্মসূচি: সহস্রকণ্ঠে সংবিধান পাঠ করবে কংগ্রেস, ঘোষণা সভাপতি শুভঙ্করের

গীতাপাঠের কর্মসূচিতে এক চিকেন প্যাটিস বিক্রেতাকে ব্রিগেডে হেনস্থা করেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা। এমনই সব ঘটনার বিরুদ্ধেই কংগ্রেসের কর্মসূচি— ‘সহস্রকণ্ঠে সংবিধান পাঠ।’

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৪৯
Share:

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। —ফাইল চিত্র।

৭ ডিসেম্বর ব্রিগেডে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের উদ্যোগে পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ ঘিরে রাজনৈতিক চর্চা চলছে রাজ্যে। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বও। তার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় পাল্টা বার্তা দিতে সংবিধান পাঠের কর্মসূচি ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার বিধান ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। গীতাপাঠের কর্মসূচিতে এক চিকেন প্যাটিস বিক্রেতাকে ব্রিগেডে হেনস্থা করেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা। এমনই সব ঘটনার বিরুদ্ধেই কংগ্রেসের কর্মসূচি— ‘সহস্রকণ্ঠে সংবিধান পাঠ।’ আগামী ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, বেলা ১টায় মধ্য কলকাতার রানি রাসমণি রোডে অনুষ্ঠিত হবে এই কর্মসূচি।

Advertisement

শুভঙ্কর বলেন, “বহুত্ববাদের পক্ষে বন্দেমাতরম গেয়ে শুরু করে ‘সহস্রকণ্ঠে সংবিধান পাঠ’ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, ‘‘দেশ জুড়ে ভাষা, খাদ্য, পোশাক ও ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের রাজনীতি বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ড. বিআর অম্বেডকর প্রণীত সংবিধানকে রাষ্ট্রশক্তির মদতে পদদলিত করা হচ্ছে।’’ তাই প্রতিবাদ জানিয়ে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আরএসএস হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলি মনুবাদ ও সংকীর্ণতার রাজনীতিকে এগিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শুভঙ্কর। তাঁর বক্তব্য, “গীতা পাঠের বদলে চণ্ডীপাঠ, রাম মন্দিরের বদলে জগন্নাথ মন্দির— এই তুলনা টেনে বিভাজনের রাজনীতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যার আমরা তীব্র বিরোধিতা করি।” কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, বাংলার চৈতন্য, রাজা রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগর, ডিরোজিও, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল এবং রামকৃষ্ণ পরমহংসের মানবতাবাদী ও বহুত্ববাদী চেতনার আজ ঐতিহ্য পদদলিত হচ্ছে।

গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে চিকেন প‍্যাটিস বিক্রেতাকে হেনস্থার প্রতিবাদে বুধবার প‍্যাটিস বিক্রি করে প্রতিবাদ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার । —নিজস্ব চিত্র।

এ ছাড়া তিনি জানান, ২২–২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ দিনের কাজের দাবিতে লোকভবন ঘেরাও কর্মসূচি করবে কংগ্রেস। নতুন জব কার্ডের বরাদ্দ বন্ধ হয়ে থাকা এবং রাজনৈতিক কারণে বাংলার বরাদ্দ আটকানোর প্রতিবাদে এই আন্দোলন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement