ইশরাত জহান।
পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ইশরাত জহান ভুয়ো সংঘর্ষ মামলার এক আবেদনকারী, গোপীনাথ পিল্লাই। শুক্রবার কেরলের আলাপুঝার ঘটনা।
২০০৪ সালের জুন মাসে অমদাবাদের উপকণ্ঠে অপরাধ দমন শাখার গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৯ বছরের কলেজ ছাত্রী ইশরাত জহান এবং তাঁর তিন সঙ্গী। পুলিশ দাবি করেছিল, ওই চার জনের সঙ্গে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগ রয়েছে। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার ছক কষেছিল ইশরাতরা।
ইশরাতের সঙ্গে নিহতদের তালিকায় ছিলেন প্রাণেশ পিল্লাইও। এ দিন দুর্ঘটনায় মৃত গোপীনাথ এই প্রাণেশের বাবা। ৭৮ বছর বয়সি ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গত বুধবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কোচি যাচ্ছিলেন। তাঁর গাড়িটি আচমকা ব্রেক কষলে একটি লরি পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গোপীনাথকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারই একটি দুর্ঘটনার মামলা রুজু হয়েছে। সম্ভাব্য সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষ না হলে এ বিষয়ে কিছু জানানো যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ‘ওদের মৃত্যুই আমাদের শান্তি দেবে, ওটাই হবে একমাত্র সান্ত্বনা’
২০১১ সালে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) ওই মামলায় গুজরাত হাইকোর্টকে জানিয়েছিল, ভুয়ো সংঘর্ষেই প্রাণেশের মৃত্যু হয়েছিল। এর পরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন গোপীনাথ। তিনি জানিয়েছিলেন, কেউ তাঁকে আর ‘সন্ত্রাসবাদীর বাবা’ বলে সম্বোধন করবে না।