পুলিশি টহল। বুধবার জম্মু-কাশ্মীরের নওহট্টায়। ছবি: পিটিআই।
সেনা জওয়ানের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠায় মঙ্গলবার কাশ্মীরের হান্দোয়ারায় বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছিল। মঙ্গলবারের এই ঘটনার জেরে দ্রুগমুলাতে আজ ফের উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের গোলা ছোড়েnপুলিশ। আর সেই গোলার ঘায়ে ফের মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। আহত দু’জন।
গত কাল বিক্ষোভ মিছিলে সেনার গুলিতে এক মহিলা-সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত চার জন। এ দিকে ঘটনার দু’দিন পর, আজ সেই ছাত্রীই শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করে। সেনাবাহিনীর তরফে ওই ছাত্রীর বিবৃতি ভিডিওয় প্রকাশ করা হয়। যাতে তাকে বলতে শোনা গিয়েছে, কোনও সেনা জওয়ান তার শ্লীলতাহানি করেননি। বরং স্থানীয় দুই যুবক মিলে ষ়ড়যন্ত্র করেছে। ইন্টারনেটে ভিডিওটি ভাইরালও হয়েছে। কাশ্মীরের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠায় প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের কপালের ভাঁজ ক্রমশ বাড়ছে। সরকারি সূত্রের খবর, বুধবারই কাশ্মীরের নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি জরুরি তদন্তের দাবিতে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের সঙ্গে দেখা করেন। মঙ্গলবার মিছিলে গুলি চালানোর ঘটনায় এক অফিসারকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্তত ছ’টি থানা এলাকায় জারি হয়েছে কার্ফু। জওয়ানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করে সে দিনের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন ওই ছাত্রী। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা গিয়েছে— মঙ্গলবার শৌচালয় থেকে বেরনোর সময় স্থানীয় দু’জন তার পথ আটকায়। মেয়েটির দাবি, স্কুলের পোশাক পরা একটি ছেলে তাকে চড়ও মারে। মেয়েটির ব্যাগ কেড়ে নিয়ে, এক জওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার মিথ্যে অভিযোগ তুলে তাকে গালিগালাজ করে। পরে ওই দু’জনই লোক জড়ো করে মেয়েটিকে থানায় যেতেও বাধা দেয় বলে অভিযোগ ছাত্রীর। তার পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ।
সূত্রের খবর, স্থানীয় মানুষও সেনাছাউনি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। জওয়ানদের উদ্দেশে পাথর ছুড়তে শুরু করেন ক্ষিপ্ত জনতার একাংশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই মিছিলে গুলি চলে বলে দাবি করেছে সেনা।