Delhi Blast

বিস্ফোরণকাণ্ডে জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ থেকে আটক ডাক্তারি পড়ুয়া প্রিয়ঙ্কা শর্মা, উমরের সঙ্গে যোগ ছিল হরিয়ানার তরুণীর?

তদন্তকারীদের একটি সূত্রের দাবি, প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে বিস্ফোরণকাণ্ডের অভিযুক্ত উমর উন নবির যোগাযোগ ছিল বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। ফোনের সূত্র ধরেই এই যোগাযোগের বিষয়টি তদন্তকারীদের হাতে এসেছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৩১
Share:

বিস্ফোরণস্থলে দিল্লির পুলিশকর্মীরা। ছবি: পিটিআই।

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ থেকে চতুর্থ বর্ষের এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে আটক করল তদন্তকারী সংস্থা। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। আটক ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার নাম প্রিয়ঙ্কা শর্মা। সূত্রের খবর, তিনি হরিয়ানার রোহতকের বাসিন্দা। অনন্তনাগের একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী প্রিয়ঙ্কা।

Advertisement

ইন্ডিয়া টুডে টিভি-কে তদন্তকারীদের এক সূত্র জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা অনন্তনাগের মালাকনাগ এলাকায় তল্লাশি অভিযানে যায়। সেখানে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন প্রিয়ঙ্কা। সেই ভাড়াবাড়ি থেকেই তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাঁর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, সিমকার্ড উদ্ধার হয়েছে। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত আদিলের গ্রেফতারের পর থেকেই প্রিয়ঙ্কার নাম উঠে আসে তদন্তকারীদের হাতে। ঘটনাচক্রে, আদিলও অনন্তনাগের ওই সরকারি মেডিক্যাল কলেজে প্রাক্তন কর্মী। সূত্রের দাবি, তাঁকে জেরা করে বেশ কিছু তথ্য উদ্ধার হয়েছে। আর সেই সূত্র এবং আদিলের ফোন কলের রেকর্ড ঘেঁটে ডাক্তারি পড়ুয়া প্রিয়ঙ্কার হদিস মেলে। হরিয়ানা থেকে তদন্তকারী একটি দল অনন্তনাগে আসছে বলেও ওই সূত্রের দাবি।

তদন্তকারীদের একটি সূত্রের দাবি, প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে বিস্ফোরণকাণ্ডের অভিযুক্ত উমর উন নবির যোগাযোগ ছিল বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। ফোনের সূত্র ধরেই এই যোগাযোগের বিষয়টি তদন্তকারীদের হাতে এসেছে বলে সূত্রের খবর। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে তাঁর আদৌ কোনও ভূমিকা ছিল কি না, যদি থাকে, কী ভাবে সেই বিস্ফোরণে সহযোগিতা করেছিলেন, প্রিয়ঙ্কাকে হেফাজতে নিয়ে জানার চেষ্টা করবেন বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে জম্মু-কাশ্মীর, হরিয়ানার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশেও সমান্তরাল তল্লাশি চলছে। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশে কাশ্মীরের ২০০ ডাক্তারি পড়ুয়া এবং চিকিৎসক এখন তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন। সন্ত্রাসদমন শাখা রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, যেখানে কাশ্মীরি পড়ুয়ারা রয়েছেন। কানপুর, লখনউ, মেরঠ, সহারনপুর এবং রাজ্যের আরও কয়েকটি জায়গা এখন গোয়েন্দাদের নজরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement