চার বছর আগে ধরা পড়ার পরে নাভিদ। পিটিআই
গুলির লড়াইয়ে মারা গেল সাংবাদিক শুজাত বুখারির হত্যাকারী জঙ্গি নাভিদ ঝুট। আজ সকালে বদগাম জেলার চেতরগামে একটি বাড়িতে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ওই পাক জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পায় সেনা। নিরাপত্তা বাহিনী বাড়িটিকে ঘিরে ফেলতেই জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। অভিযানে আহত হয়েছেন সেনার তিন জওয়ান। প্রাণ হারিয়েছে নাভিদের এক সঙ্গীও।
কাশ্মীর উপত্যকায় লস্কর-ই তইবার চিফ কম্যান্ডার ছিল নাভিদ। পাকিস্তানের মুলতানের তার জন্ম। মুম্বই হামলায় ফাঁসির সাজা পাওয়া পাক জঙ্গি আজমল কসাবের সঙ্গেই পাকিস্তানে লস্করের ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল সে। পুলিশের দাবি, লস্কর প্রধান জ়াকিউর রহমান লকভির ঘনিষ্ঠ নাভিদ ২০১২ সাল থেকেই কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে সক্রিয়। উপত্যকায় বিভিন্ন হামলার নেতৃত্ব দেওয়া ও সন্ত্রাসের ভাবনায় যুব সমাজকে জোর করে টেনে আনার চেষ্টা করত সে। সাধারণ নাগরিকেরাও তার অত্যাচারের শিকার।
তবে অতীতে বিভিন্ন হামলার সময়ে নাভিদ নিরাপত্তা বাহিনীর মুখোমুখি হলেও শেষ পর্যন্ত পালিয়ে যেতে সফল হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটেছে অন্তত ছয় বার। ২০১৪ সালে অবশ্য নিরাপত্তা বাহিনীর জালে এসেছিল নাভিদ। তবে এ বছর ফেব্রুয়ারিতে শ্রীনগরের সেন্ট্রাল জেল থেকে শহরের এসএমএইচএস হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গেলে পালিয়ে যেতে সফল হয় সে।
সে দিন গুলির লড়াইয়ে প্রাণ গিয়েছিল দু’জন পুলিশকর্মীর। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ‘রাইসিং কাশ্মীরি’-র সম্পাদক শুজাত বুখারি শ্রীনগরের লাল চকে তাঁর দফতরের কাছে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন। পুলিশের দাবি, যে তিন জন বাইক আরোহী শুজাতকে হত্যা করতে এসেছিল, তার মধ্যে দু’জন ছিল কাশ্মীরি, এক জন পাকিস্তানি। আজকের সংঘর্ষে প্রাণ হারানো নাভিদই সেই পাক জঙ্গি। ক’দিন আগেই শুজাতের আর এক খুনি আজাদ মালিক নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংহ জানান, নাভিদের দেহ পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিঠি লিখছেন তাঁরা।