দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণস্থল। ছবি: পিটিআই।
ফরিদাবাদের ‘ডক্টর মডিউল’-এর এক সদস্য তথা চিকিৎসক মুজফ্ফর রাথরের খোঁজে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। সূত্রের খবর, মুজফ্ফরের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করার জন্য ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে তারা। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃতদের সূত্র ধরেই মুজফ্ফরের নাম উঠে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক সূত্র জানিয়েছে, দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত আদিল আহমেদ রাথরের ভাই মুজফ্ফর। তিনিও ‘ডক্টর মডিউল’-এর এক সদস্য। দক্ষিণ কাশ্মীরের কাজিগুন্দের বাসিন্দা মুজফ্ফর। তিনি নিজেও এক জন চিকিৎসক। ঘটনাচক্রে, হরিয়ানার আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃতদের জেরা করতেই মুজফ্ফরের নাম উঠে আসে। আর সেই নাম উঠে আসতেই তাঁরে খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। কিন্তু পুলিশ মনে করছে, মুজফ্ফর আফগানিস্তানে পালিয়েছেন। তাই তাঁকে ধরতে ইন্টারপোলের সাহায্য নিতে চাইছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।
তদন্তকারীদের একটি সূত্রের দাবি, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক উমর নবি, চিকিৎসক মুজ়াম্মিল আহমেদ এবং মুজফ্ফর, এই তিন জন ২০২১ সালে তুরস্কে গিয়েছিলেন। সেখানে ২০ দিন কাটান। সন্দেহ করা হচ্ছে, অগস্টেই আফগানিস্তানে পালান মুজফ্ফর। তবে হিন্দুস্তান টাইমস-কে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরের তদন্তকারী সংস্থা এই বিষয়ে তদন্ত করছে। ফলে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এখনই সরাসরি ইন্টারপোলের কাছে রেড কর্নার নোটিসের জন্য যেতে পারবে না। তবে সেই প্রক্রিয়া জারি রাখতে পারে তারা। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে এই ‘ডক্টর মডিউল’-এর হদিস পায় জম্মু-কাশ্মীরের তদন্তকারী সংস্থা (এসআইএ)। নওগাম, শ্রীনগরে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর পোস্টার পড়ার পরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তখনই এই মডিউলের হদিস মেলে। দেখা যায়, সেই জঙ্গি মডিউলে অনেক চিকিৎসক যুক্ত রয়েছেন। আর সেই মডিউল পরিচালনা করছিলেন উমর, মুজ়াম্মিল এবং মুজফ্ফর। এ বার সেই চিকিৎসক মুজফ্ফরকে ধরতেই তৎপরতা শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ নভেম্বর দিল্লির লালকেল্লার সামনে গাড়ি বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। বিস্ফোরণের কয়েক দিন আগে হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এবং অস্ত্র-সহ গ্রেফতার হন চিকিৎসক মুজ়াম্মিল আহমেদ এবং সাহিন সইদ। তবে আরও এক চিকিৎসক উমর উন নবি পালিয়ে দিল্লিতে আসেন। তাঁরই গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়।