COVID-19

অক্সিজেন বন্ধ করায় কোভিড রোগীর মৃত্যু? অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য মধ্যপ্রদেশের হাসপাতালে

বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে যথাযথ শাস্তিও দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২১ ১৯:০২
Share:

সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া। ছবি: সংগৃহীত।

অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে এক কোভিড রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল মধ্যপ্রদেশে। মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে শিবপুরীর সরকারি হাসপাতালের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ করলেন ওই কোভিড রোগীর পরিবার। পাশাপাশি ১ মিনিটের সিসিটিভি ক্যামেরার একটি ফুটেজও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সামনে তুলে ধরেছেন তাঁরা। যা খতিয়ে দেখতে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে যথাযথ শাস্তিও দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

ওই কোভিড রোগীর ছেলে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তিনি হাসপাতালেই ছিলেন। তারপর বাড়ির জন্য রওনা দেন। পরদিন সকালে হাসপাতাল থেকে তাঁকে ফোন করে বাবার শারীরিক অবনতির কথা জানানো হয়। হাসপাতালে পৌঁছে তিনি দেখেন তাঁর বাবা কাতরাচ্ছেন, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ। কর্তব্যরত নার্সকে দ্রুত অক্সিজেন সরবরাহের অনুরোধ করলেও তা করা হয়নি। তার ফলে অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে। তাঁকে আইসিইউ-এ ভর্তি করা হয়। এর ১৫ মিনিটের মধ্যেই তিনি মারা যান।

তাঁর অভিযোগ, গত ২-৩ দিনে বাবা বেশ সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। আচমকা এই ঘটনা শুধুমাত্র অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ারই ফল।

Advertisement

১ মিনিটের একটি সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ করেছেন তিনি। তাতে হাসপাতালের দুই কর্মীকে দেখা গিয়েছে। যাঁরা ওই রোগীর বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের পরনে কোনও পিপিই কিট ছিল না। তাঁদের একজন রোগীর বিছানার পাশে কোনও সুইচ আবার বন্ধও করে দেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে কমিটিকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিফ মেডিক্যাল হেলথ অফিসার অর্জুন লাল শর্মা জানিয়েছেন, দোষীর শাস্তি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন