বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা। আটারি স্টেশন থেকে ট্রেনের কামরায় উঠে বসলেন বছর সাতাশের এক তরুণী। পরনে বোরখা। চুপচাপই বসেছিলেন। কথাবার্তায় আশেপাশে যাত্রীরা এক বার জেনেছিলেন দিল্লি যাবেন তিনি। খুব স্বাভাবিক ভাবে তাঁকে ঘিরে কোনও কৌতুহল জন্মায়নি সহযাত্রীদের মনে। তাঁরা চমকে উঠলেন যখন জালন্ধর স্টেশনে ট্রেন এসে থামল। পুলিশের একটি বিরাট বাহিনী এসে উঠল কামরায়। কী সব কথাবার্তার পরেই গ্রেফতার করে নিয়ে গেল ওই তরুণীকে।
কে ওই তরুণী? সলমন খানের ভক্ত না কি কোনও পাকিস্তানি গুপ্তচর! এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ওই তরুণীকে ঘিরে। তবে নিজেকে সলমন খানের ভক্ত বলেই জানাচ্ছেন চন্দ খান নামে ওই পাক তরুণী। পুলিশের কাছে তাঁর দাবি, সলমন খানের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যেই তিনি দিল্লি এসেছেন। তবে তাঁর এই দাবি মানতে পারছে না পুলিশ। কথার অসঙ্গতিতে পুলিশের অনুমান পাকিস্তানি গুপ্তচর হতে পারেন তিনি।
রেল পুলিশের এএসপি মাখন সিংহ জানান, যদি তিনি এক জন সাধারণ পাক নাগরিক হতেন, তা হলে সীমান্তে চেকিং পয়েন্টেই ধরা পড়তেন। কারণ তাঁর কাছে কোনও পাসপোর্ট ছিল না। উল্টে বারবার জেরাতে ভারতে প্রবেশ করার একাধিক কারণ দেখিয়েছেন ওই তরুণী। প্রথমে জানান, বলিউড অভিনেতা সলমনের সঙ্গে দেখা করতে চান। তাতে চিঁড়ে না ভেজায় নানা যুক্তি খাড়া করেছেন তিনি। কখনও বলছেন হারিয়ে যাওয়া কাকাকে খুঁজতে এসেছেন, তো কখনও তাঁর দাবি ছেলের জন্য দিল্লির দরগায় প্রার্থনা করতে চান।
সম্প্রতি পঞ্জাবের গুরদাসপুরে জঙ্গি হানার ঘটনা ঘটেছে। দেশ জুড়ে জারি রয়েছে জঙ্গি হানার সতর্কতাও। এর মধ্যে পাক তরুণীর গ্রেফতারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাকিস্তানের গুপ্তচর হয়েই ওই তরুণীর এ দেশে আসা কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।