বিএসএফ নয়, জঙ্গিদের লক্ষ্য ছিল অমরনাথ যাত্রা। লক্ষ লক্ষ মানুষের এই অমরনাথ যাত্রার সময়ে হামলা চালানো হলে বড় আলোড়ন সৃষ্টি হবে। আর সে কারণেই বড় নাশকতার ছক কষে উসমান এবং তার সঙ্গীকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পাঠানো হয়েছিল। ধৃত জঙ্গি উসমানকে জেরা করে এমন তথ্যই পেয়েছে পুলিশ।
বুধবার উধমপুরে বিএসএফের কনভয়ে হামলা চালিয়েছিল দুই জঙ্গি। বিএসএফের কনভয় যাবার কয়েক ঘণ্টা আগেই সেখান দিয়ে অমরনাথ যাত্রার গাড়ি যায়। সেই গাড়িতেই হামলা চালানোর উদ্দেশ্য ছিল জঙ্গিদের। তাদের সময়ের হেরফের হয়ে যায়। অমরনাথ যাত্রীদের গাড়ি আগেই চলে যায়। জঙ্গিদের সামনে বিএসএফের কনভয় চলে আসে। তারা তখন তাতেই হামলা চালায়।
ঘটনার তদন্ত করতে ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে এনআইএ। নাশকতার কী ছক তারা কষেছে তা জানতে উসমানকে জেরা করবে এনআইএ। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ঘটনার পিছনে পাকিস্তানের সরাসরি হাত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তবে পাকিস্তান এ দিনও তাঁর দাবিকে পুরোপুরি অস্বীকার করে। এমনকী উসমানের গ্রেফতারি প্রসঙ্গেও তারা কিছু জানেনা বলে দাবি করে।
বুধবার এই হামলার ঘটনার পর বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে উসমান। মারা যায় অন্য এক জঙ্গি মোমিন। জঙ্গিদের পাল্টা গুলিতে মারা যায় শুভেন্দু রায় এবং রকি নামে দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়। তবে নিহত মোমিন কার গুলিতে নিহত হয়েছে তা নিয়ে বৃহস্পতিবার তরজায় নামে বিএসএফ-সিআরপিএফ। সিআরপিএফের এক কনস্টেবলের গুলিতে মোমিন মারা যায় বলে দাবি করা হয়েছিল। এ দিন বিএসএফের এক সেনার গুলিতে মোমিন মারা যায় বলে দাবি করেন বিএসএফ (আইজি) রাকেশ শর্মা।
এই সংক্রান্ত আরও খবর:
দেখতেই বাচ্চা, উসমানের মগজ ধোলাই হয়ে গিয়েছে, বলছে সেনা সূত্র
কসাবের পর উসমান, হামলা চালিয়ে পাকড়াও পাক জঙ্গি