কূটনীতিক হেনস্থার প্রতিবাদে দিল্লিতে আসন্ন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন) সম্মেলন বয়কটের কথা জানাল পাকিস্তান।
আগামী ১৯-২০ মার্চ দিল্লিতে ওই সম্মেলন হওয়ার কথা। সেই উপলক্ষে ফেব্রুয়ারিতেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আমেরিকা, চিন, পাকিস্তান-সহ ৫০টি দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীদের। পাক বাণিজ্যমন্ত্রী পারভেজ মালিক সে সময় আমন্ত্রণ স্বীকার করে অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা প্রাথমিক ভাবে জানিয়েও দেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বাতিলের কথা জানিয়ে শনিবার পাক বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়েছে, ‘‘কূটনীতিক হেনস্থার প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত। এই পরিস্থিতিতে আমরা বাণিজ্যমন্ত্রীকে ভারতে পাঠাতে রাজি নই। ভারতকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’ এ দিন কাশ্মীর সমস্যা নিয়েও মুখ খুলেছে পাক-প্রশাসন। পাক বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘সংঘর্ষ বিরতি ভেঙে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত বার বার গোলাগুলি চালানো বন্ধ করুক।’’ কাশ্মীর সমস্যা ঘিরে দুই দেশের সম্পর্কে জটিলতা কিছু কম ছিল না। কিন্তু গত এক মাসে কূটনীতিক হেনস্থার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তিক্ততা আরও বেড়েছে। দিল্লিতে নিযুক্ত পাক কূটনীতিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের প্রবল হেনস্থা করা হচ্ছে বলে সম্প্রতি হইচই শুরু করে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করে প্রতিবাদ জানায় পাক বিদেশ মন্ত্রক।
পাল্টা অভিযোগ তোলে ভারত। ইসলামাবাদে কর্মরত ভারতীয় কূটনীতিকরাও একই ভাবে হেনস্থার শিকার বলে দাবি করা হয়। দু’পক্ষের চাপানউতোরে এই ক’দিনে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। ভারতে পাক কূটনীতিকদের হেনস্থার প্রতিবাদে দিল্লিতে নিযুক্ত পাক হাইকমিশনার সোহেল মাহমুদকে ফিরিয়ে নিয়েছে ইসলামাবাদ। শুক্রবারই পাকিস্তানে পৌঁছেছেন সোহেল।