নিজের জালেই শিকার পাকিস্তান, দাবি বেঙ্কাইয়ার

নিজেদের সন্ত্রাসের পাতা জালে শিকার হচ্ছে পাকিস্তানই। কাল সে দেশের কোয়েটায় পুলিশ প্রশিক্ষণ শিবিরে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৪৬
Share:

নিজেদের সন্ত্রাসের পাতা জালে শিকার হচ্ছে পাকিস্তানই। কাল সে দেশের কোয়েটায় পুলিশ প্রশিক্ষণ শিবিরে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। আজ সেই ঘটনার উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডুর মন্তব্য, ‘‘সন্ত্রাসবাদকে নিজেদের জাতীয় নীতি হিসেবে গ্রহণ করার ফল ভুগতে শুরু করেছে পাকিস্তান। আশাকরি দ্রুত তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে।’’ বেঙ্কাইয়া এ কথা বললেও, সীমান্তে হামলা জারি রেখেছে পাক সেনা। বিএসএফের বক্তব্য, জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিতেই বিনা প্ররোচনাতে ও-পার থেকে গুলি চালাচ্ছে পাক সেনা।

Advertisement

সন্ত্রাসে মদত দেওয়ায় পাকিস্তানকে যে ফল ভুগতে হবে— এ কথা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে ভারত। ঘটনাচক্রে এই কোয়েটাতেই দু’মাসের মধ্যে দু’টি বড় মাপের জঙ্গি হামলা হল। গত কালের হামলার সূত্র ধরেই আজ বেঙ্কাইয়া হায়দরাবাদে বলেন, ‘‘পাকিস্তানকে বুঝতে হবে ভাল জঙ্গি, খারাপ জঙ্গি বলে কিছু হয় না। ভারত ও আফগানিস্তানে হামলা করলে তারা ভাল জঙ্গি আর পাকিস্তানে যারা হামলা চালায় তারা খারাপ জঙ্গি— এ ভাবে জঙ্গিদের ভাগ করা যায় না।’’ আর তাই পাকিস্তানের চোখে যারা ভাল জঙ্গি যেমন মাসুদ আজহার, হাফিজ সইদদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ভারত সব সময়েই পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে। কিন্তু ইসলামাবাদকে আগে তাদের জাতীয় নীতির পরিবর্তন করতে হবে। কারণ সন্ত্রাসবাদের কোনও ধর্ম নেই। তাই গোটা বিশ্বকে একসঙ্গে এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে হবে।’’ বেঙ্কাইয়া বলেন, ‘‘আশা করি পাকিস্তান তাদের ভুল বুঝতে পেরে জাতীয় নীতিতে পরিবর্তন আনবে।’’

বেঙ্কাইয়া এই বার্তা দিলেও, আজ দিনভর উত্তপ্ত ছিল জম্মু-কাশ্মীর সীমান্ত। পাক সেনার গুলিতে জম্মুর আরএস পুরা সেক্টরে আহত হাসপাতালে ভর্তি বিএসএফ-র সাব-ইনস্পেক্টর এ কে উপাধ্যায়। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরেই বিএসএফ ঘাঁটি নিশানা করে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে পাক রেঞ্জার ও সেনা। রেহাই নেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া বাসিন্দাদেরও। আর্নিয়া সাব সেক্টরের সাই, দেবীগড়, সোহাগপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় মঙ্গলবার ও-পার থেকে ধারাবাহিক মর্টার হামলা হয়েছে। যার জেরে একই পরিবারের ৭ মহিলা-সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন