Farm Laws

পাকিস্তানে বসে বেনামে টুইট, কৃষকদের উস্কে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে: দিল্লি পুলিশ

বিভিন্ন সীমান্তে অপেক্ষা করছে ৬০ হাজার ট্র্যাক্টর। সেগুলিই যাবে মিছিলে। এমনই দাবি কৃষক সংগঠনের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২১ ১৯:৩০
Share:

কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলে সবুজ সঙ্কেত দিল্লি পুলিশের। ফাইল চিত্র

পাকিস্তানের মাটিতে বসে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বিশৃঙ্খলা ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, এ বার এমনটাই দাবি দিল্লি পুলিশের। এ নিয়ে কৃষক সংগঠনগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে বলে রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ দেশের রাজধানীর পুলিশ।

Advertisement

রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লি পুলিশ গোয়েন্দা সূত্র উদ্ধৃত করে বলেছে, পাকিস্তানের মাটি থেকে অন্তত ৩০৮টি টুইটার হ্যান্ডেল চালানো হচ্ছে। পুলিশের বক্তব্য, ওই টুইটার হ্যান্ডেলের মাধ্যমে সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বিশৃঙ্খলা তৈরির ‘ষড়যন্ত্র’ করা হচ্ছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ট্র্যাক্টর মিছিল নিয়ে ইতিমধ্যেই সংযুক্ত কিসান মোর্চার সঙ্গে ৫ থেকে ৬ বার বৈঠক করেছে তারা। পাক ‘ষড়যন্ত্র’-এর বিষয়ে কৃষক সংগঠনগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। কৃষক নেতাদের বলা হয়েছে, পাকিস্তানে বসে বেনামে টুইট করে কৃষকদের উস্কে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল কমিশনার (ইনটেলিজেন্স) দীপক পাঠকের মতে, ‘‘বিশৃঙ্খলা এবং ধোঁয়াশা তৈরিই ওই টুইটার অ্যাকাউন্টগুলির লক্ষ্য। এ বিষয়ে সচেতন থাকতে আমরা কৃষক নেতাদের অনুরোধ করেছি।’’

দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের পর ট্র্যাক্টর মিছিল করবেন কৃষকরা। শর্তসাপেক্ষে রাজধানীতে ট্র্যাক্টর মিছিল করতে কৃষক সংগঠনগুলিকে ছাড়পত্র দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তবে ওই দিন নিরাপত্তা আরও কড়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। ট্র্যাক্টর মিছিল নিয়ে পুলিশ কর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লি পুলিশের কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তব। জানুয়ারির ১৩ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে ওই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

বিভিন্ন সীমান্তে অপেক্ষা করছে ৬০ হাজার ট্র্যাক্টর। সেগুলিই যাবে মিছিলে। এমনই দাবি কৃষক সংগঠনের। দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত সেজেছে পোস্টার, ব্যানারে। ২৬ জানুয়ারির বিশাল প্রতিবাদ কর্মসূচির জন্য এখন টগবগ করে ফুটছেন কৃষকরা।

কিসান সভার সাধারণ সম্পাদক অতুলকুমার অঞ্জন রবিবার বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই সব প্রস্তুতি সেরে ফেলেছি। বিভিন্ন সীমান্তে অপেক্ষা করছে ৬০ হাজার ট্র্যাক্টর। এছাড়াও দেশ জুড়ে ১৯৪টি জেলায় একই সঙ্গে ট্র্যাক্টর মিছিল হতে চলেছে।’’

সংবাদ সংস্থা সূ্ত্রে খবর, সিঙ্ঘু সীমানা থেকে ট্র্যাক্টরের মিছিল হরিয়ানার দিকে যাবে। আরও একটি মিছিল যাবে টিকরি সীমানা থেকে। অন্য আর একটি মিছিল যাবে গাজিপুর ইউপি গেট থেকে। শর্তসাপেক্ষে এই মিছিলে ছাড়পত্র দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

‘কৃষি আমাদের সংস্কৃতি’ লেখা বড় বড় পোস্টারে সাজানো হয়েছে সিঙ্ঘু সীমান্তে উপস্থিত ট্র্যাক্টরগুলি। সেগুলির মধ্যে ছোট্ট ঘরের মতো বানিয়ে কেউ বিশ্রাম করছেন। কেউ অপেক্ষা করছেন তাঁবুতে। প্রৌঢ় কৃষক জসবন্ত সিংহ তেমনই প্রতিবাদীদের মধ্যে একজন, এসেছেন পঞ্জাব থেকে। শক্ত চোয়ালে তাঁর মন্তব্য, ‘‘সরকার ধৈর্য পরীক্ষা করছে করুক, আমরা আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত প্রতিবাদস্থল ছেড়ে যাব না।’’

তবে এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে তৈরি টুইটার অ্যাকাউন্টগুলি প্রশাসনের কপালে ভাঁজ চওড়া করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন