শশিকলাকে বাইরে রেখে এডিএমকের দুই বিবাদমান গোষ্ঠীকে একজোট করার কাজে এ বারে দিল্লিতে সক্রিয় হলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা।
উপরাষ্ট্রপতি পদে আজ বেঙ্কাইয়া নায়ডুর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লিতে ছিলেন দুই বিবাদমান গোষ্ঠীর নেতা পলানীস্বামী এবং পনীরসেলভম। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী পলানীস্বামী। বৈঠকের পর বলেন, ‘‘দুই গোষ্ঠী মিশে যাবে শীঘ্রই। কিন্তু এখনও বৈঠক হয়নি।’’ মুখে বৈঠকের কথা না বললেও আজ দিনভর বিজেপি নেতারা দুই গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেই আলোচনা করেন। বিজেপি চাইছে, শশিকলাকে দলের বাইরে রেখে ফের একজোট হোক দুই গোষ্ঠী। তাদের সমর্থনে রাজ্যসভাতে আরও মজবুত হবে বিজেপি, আরও সক্রিয় হবে তামিলনাড়ুতেও।
তার জন্য একটি সূত্র নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পলানীই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। পনীর হবেন উপমুখ্যমন্ত্রী। আর দলের দায়িত্ব পাবেন পনীর। দলে দু’নম্বর পদ পাবেন পলানীর মনোনীত ব্যক্তি। মন্ত্রিসভাতেও গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন পনীরের শিবির। শশিকলা ও তাঁর মনোনীত ভাইপো দিনকরণকে বার করে দেওয়া হবে দল থেকে। আগামী সপ্তাহে চেন্নাইয়ে বৈঠকে এই সূত্র নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। কিন্তু যে পনীরকে জয়ললিতা মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিলেন, তিনি এখনও সেই পদের আশা ছাড়তে রাজি নন। দুই শিবিরের সঙ্গে কথা বলে এই তিক্ততারই অবসান ঘটাতে চাইছে বিজেপি। তাদের প্রস্তাবিত ব্যবস্থা কায়েম হলে এই প্রথম এডিএমকে-তে ক্ষমতার দু’টি কেন্দ্র তৈরি হবে। এমজিআর থেকে জয়ললিতা পর্যন্ত— কোনও দিন যা হয়নি।