প্রতীকী চিত্র।
নির্বাচনের আগে সারা দেশে ভুয়ো খবর এবং গুজবের বাড়বাড়ন্ত আটকাতে ফের উদ্যোগী হল ভারতের সংসদ। পরের মাসের শুরুতেই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের মত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের প্রতিনিধিদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিল এই বিষয়ে গঠিত সংসদীয় কমিটি।
বেশ কিছুদিন ধরেই ভুয়ো খবর আর গুজবকে হাতিয়ার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসার শিকার হচ্ছেন বহু সাধারণ মানুষ।নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গেই এই খবর ছড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে বহু গুণে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হিংসাও। সেই কারণেই বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি ডেকে পাঠাল ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম সংস্থার প্রতিনিধিদের। ভুয়ো খবর আটকাতে এই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি কী ভূমিকা নিয়েছে, তাই শোনা হবে আগামী ৬ মার্চের এই বৈঠকে।
যদিও এই সব সংস্থার আন্তর্জাতিক কর্তা নাকি ভারতীয় প্রতিনিধি, কাদের ডেকে পাঠানো হয়েছে, তাই নিয়ে জারি আছে ধোঁয়াশা। বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা ইনস্টাগ্রাম।
আরও পড়ুন: ‘বন্ধ করে দেব তিন নদীর জল’, ঘোষণা গডকড়ীর, পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াল ভারত
এর আগে টুইটারের মালিক জ্যাক ডোরসে-কেও ডেকে পাঠিয়েছিল ভারত। কিন্তু তিনি আসতে পারেননি। শুক্রবার টুইটার অবশ্য জানিয়েছে, ‘এই বিষয়গুলি সারা পৃথিবীর সমস্যা। আগামী সোমবার আমাদের সংস্থার গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট কলিন ক্রোওয়েল ভারতের সংসদীয় কমিটির সামনে হাজির হবেন।’
নির্বাচনের আগে নিজে থেকে তৎপর হয়েও বেশ কিছু ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই নেবার কথা জানিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি। নির্বাচনের আগে আসল তথ্য যাচাই করতে সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছে গুগলের মতো সংস্থা।
আরও পড়ুন: যে কোনও সময় প্রত্যাঘাতের আতঙ্ক! যুদ্ধকালীন তৎপরতা এখন পাকিস্তান জুড়ে
এর আগে বিভিন্ন নির্বাচনে জনমানস প্রভাবিত করার কাজে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই নজির মিলেছে। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনেও রুশ প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছিল।