খালে ডুবে থাকা বাসটি থেকে উদ্ধারের কাজ চালানো হচ্ছে।
যাত্রিবোঝাই বাস খালে পড়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৫ জনের। মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েক জন মহিলা ও স্কুলপড়ুয়াও রয়েছেন। শনিবার দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের মান্ড্য জেলার পাণ্ডবপুরের কাছে।
বেসরকারি ওই বাসটি পাণ্ডবপুর থেকে মান্ড্যতে যাচ্ছিল। বাসটিতে মহিলা ও স্কুলপড়ুয়া-সহ অন্তত ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। পাণ্ডবপুর তালুকের কনগনমারাডি গ্রামের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রী নিয়ে সোজা ১২ ফুট গভীরখালে গিয়ে পড়ে বাসটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাত্ই খালে বিশাল আওয়াজে কিছু একটা পড়ার শব্দ শোনেন তাঁরা। ছুটে গিয়ে দেখেন একটি বাস যাত্রীনিয়ে খালের জলে ডুবে যাচ্ছে। গ্রামবাসীরা ছুটে এসে উদ্ধারকাজে নেমে পড়েন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ফের মৃত্যু, সিগনেচার ব্রিজ না কি ‘মৃত্যুর পরোয়ানা’!
এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, চোখের সামনে যাত্রিবোঝাই বাসটিকে ডুবে যেতে দেখে অসহায়ের মতো লাগছিল। গ্রামবাসীরা এক মুহূর্ত দেরি না করে খালের জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। কিন্তু তত ক্ষণে বেশ কয়েক জন মারা যান। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২৫ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে বাসের ভিতর আরও অনেকে আটকে রয়েছে। তাঁরা বেঁচে আছেন কি না সে বিষয়েও সংশয় রয়েছে বলে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন। তবে যত দ্রুত সম্ভব বাসের ভিতর থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাতে বাড়ি ফেরার পথে মহিলার যৌনাঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে মার, নেতৃত্ব দিলেন গ্রামের মহিলা
পুলিশ জানিয়েছে, বাসটি পড়ে যাওয়ার মুহূর্তে এক যুবক কোনও রকমে লাফিয়ে বেরিয়ে চলে আসেন। বাসটিতে কত জন যাত্রী ছিল এবং দুর্ঘটনাই বা কী ভাবে ঘটল একমাত্র ওই যুবকই জানাতে পারবেন। কিন্তু তিনি এই ঘটনার পর ‘ট্রমা’ কাটিয়ে উঠতে পারেননি। সুস্থ হলে তাঁর কাছ থেকেই এ বিষয়ে সবিস্তারে জানা যাবে। তবে প্রশাসন আশঙ্কা করছে, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)