প্রতীকী ছবি।
যাত্রীদের ঠিকমতো বার্তা দিতে হবে। কোন প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসছে, কখন আসছে ইত্যাদি। এক মামলার প্রেক্ষিতে এমনই নির্দেশ দিল উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদের ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। শুধু তা-ই নয়, ক্ষতিপূরণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গাজ়িয়াবাদ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরার কথা ছিল মুরাদনগরের বাসিন্দা অনুভব প্রজাপতি নামে এক ব্যক্তির। ছত্তীসগঢ় এক্সপ্রেসে সপরিবার ঝাঁসী যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। গাজ়িয়াবাদ স্টেশন থেকে দুপুর ৩টে ২০ মিনিটে ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল। ট্রেনের নির্ধারিত সময়ের আগেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছিলেন অনুভব। তাঁরা সকলে মিলে প্রথম শ্রেণির ওয়েটিং রুমে বসে ছিলেন।
অনুভবের দাবি, স্টেশন থেকে কিছু ক্ষণ পর ঘোষণা করা ছত্তীসগঢ় এক্সপ্রেস ৪০ মিনিট দেরিতে আসবে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা দুপুর ৩টে ২৫ মিনিট নাগাদ ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। অনুভবের দাবি, ওই প্ল্যাটফর্মেই ট্রেন দেয়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে গিয়ে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু ওই প্ল্যাটফর্মে তখন অযোধ্যা এক্সপ্রেস এসে দাঁড়িয়ে ছিল। ট্রেন কোথায় তা জানার জন্য স্টেশন মাস্টারের ঘরে গিয়েছিলেন অনুভব। কিন্তু ঘর বন্ধ ছিল বলে দাবি তাঁর। রেলকে এ বিষয়ে এক্সে (সাবেক টুইটার) জানান। কিন্তু কোনও উত্তর পাননি বলে দাবি অনুভবের। সন্ধ্যা ৬টা নগাদ তিনি জানতে পারেন, ছত্তীসগঢ় এক্সপ্রেস ২ নম্বরক প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে।
এর পরই গাজ়িয়াবাদের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ দায়ের করেন অনুভব। মামলাটি উঠলে রেলের আইনজীবী দাবি করেন, ট্রেন তিন ঘণ্টা দেরিতে তো আসেনি! সুতরাং অভিযোগকারীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু ক্রেতা সুরক্ষা দফতর তাতে সায় দেয়নি। ক্রেতা সুরক্ষা দফতর তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঘোষণা সংক্রান্ত কোনও তথ্যপ্রমাণ জমা দেয়নি রেল। এমনকি কোন প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দেওয়া হয়েছে, সেই ঘোষণারও কোনও তথ্যপ্রমাণ জমা দেয়নি তারা। দফতর জানিয়েছে, এর থেকে এটা স্পষ্ট যে, পরিষেবায় ত্রুটি ছিল। তার পরই ওই যাত্রীকে ক্ষতিপূরণ দিতে রেলকে নির্দেশ দেয় ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। ৭ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রেলকে।