Maharashtra Train Accident

পুষ্পক এক্সপ্রেসে আগুনের গুজব ছড়ান চা বিক্রেতা? তার পরই হুড়োহুড়ি, ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু

স্থানীয় সূত্রে খবর, আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই যাত্রীরা চেন টেনে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করেন। অনেক যাত্রী আবার আতঙ্কে চলন্ত ট্রেন থেকে ভয়ে লাফ দেন। কিছুটা দূরে গিয়ে ট্রেন থামে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:২৭
Share:

জলগাঁওয়ে দুর্ঘটনাস্থলে আতঙ্কিত ট্রেনযাত্রীরা। ছবি: সংগৃহীত।

মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে পুষ্পক এক্সপ্রেসে আগুন লাগার গুজব ছড়িয়েছিলেন এক চা বিক্রেতা? দুর্ঘটনার পর অন্তত তেমনই দাবি করছেন যাত্রীরা। আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তেই ট্রেন থেকে নামার জন্য যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। আর তার পরই দুর্ঘটনার শিকার হন ৫০ জনেরও বেশি যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৪০ জন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই যাত্রীরা চেন টেনে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করেন। অনেক যাত্রী আবার আতঙ্কে চলন্ত ট্রেন থেকে ভয়ে লাফ দেন। কিছুটা দূরে গিয়ে ট্রেন থামে। কিন্তু তত ক্ষণে উল্টো দিক থেকে আসা কর্নাটক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় কয়েক জন যাত্রী ছিটকে পড়েন। কারও হাত, কারও পা কাটা পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় ১৩ জনের।

ট্রেন থেকে নেমে যাত্রীরা পাশের লাইনের ধারে দাঁড়িয়েছিলেন। কেউ বসেছিলেন। প্রশ্ন উঠছে, এত যাত্রী রেললাইনের উপর দাঁড়িয়ে বা বসে রয়েছেন সেটা কি কর্নাটক এক্সপ্রেসের চালক দেখতে পাননি? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই জায়গায় রেললাইনে একটা বড় মোড় রয়েছে। ফলে কোনও ট্রেন ওই লাইন ধরে আসছে কি না, তা সহজে ঠাওর করা যায় না। রেলের পরিভাষায় যেটাকে ‘শার্প টার্ন’ বলা হয়। আর সেই ‘শার্প টার্ন’-এই যাত্রীরা রেললাইনের উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন। ফলে কর্নাটক এক্সপ্রেসের চালকের পক্ষেও তা ঠাওর করা সম্ভব হয়নি। ফলে দুর্ঘটনার শিকার হন যাত্রীরা।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, পুষ্পক এক্সপ্রেসের চালক হঠাৎ ব্রেক কষেন। ট্রেনের গতি মন্থর হয়। আর ব্রেক কষার কারণে চাকার সঙ্গে ঘর্ষণে ধোঁয়া বার হতে দেখা যায়। আর তা থেকেই আগুনের আতঙ্ক ছড়ায়। যাত্রীরা অ্যালার্ম চেন টানতেই পুষ্পক এক্সপ্রেসের চালক ট্রেনের ফ্ল্যাশার আলো জ্বালিয়ে দেন। উল্টো দিক থেকে আসা কর্নাটক এক্সপ্রেসের চালক সেই আলো দেখে বিপদ আঁচ করে ট্রেনের গতি কমাতে শুরু করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তবে যাত্রীদের একাংশের দাবি, ট্রেন যদি আরও গতিতে আসত তা হলে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি হত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement