শ্রীনগরে বিক্ষোভকারীরা। ছবি: এএফপি।
পুলিশের ছোড়া পেলেটে আহত এক কিশোরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফের জ্বলে উঠল কাশ্মীর। শুক্রবার সন্ধেয় শ্রীনগরের হারওয়ান শহরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে পুলিশ পৌঁছলে তাদের লক্ষ্য করে উন্মত্ত জনতা পাথর ছুড়তে শুরু করে। পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় পেলেট বন্দুক ব্যবহার করতে হয়। সেই সময়ই আহত হয় মোমিন আলতাফ নামে ১৫ বছরের কিশোর। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। শনিবার সকালে মারা যাওয়ার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন হারওয়ানের বাসিন্দারা। যদিও পুলিশের দাবি, পেলেট তারা ব্যবহার করেছেন ঠিকই, কিন্তু এর আঘাতে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়নি।
তার শেষকৃত্যে কয়েকশো মানুষ হারওয়ানের রাস্তায় বেরোন। বিক্ষোভ দেখান। এ দিনও পুলিশ সেখানে তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। হারওয়ানে ঢোকার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। জারি করা হয় কার্ফু। এই বিক্ষোভের আঁচ যাতে অন্য এলাকায় ছড়িয় পড়তে না পারে তার জন্য শ্রীনগরের বেশ কিছু উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এ সপ্তাহের শুরুতেই বান্দিপোর এবং সোপিয়ানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ২ জনের আহত হন বেশ কয়েক জন।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে। ছবি: রয়টার্স।
হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই কাশ্মীর জ্বলছে। প্রতি দিন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে। এ পর্যন্ত সেই সংঘর্ষে পুলিশ ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে নিহত হয়েছেন ৮৫ জন।
তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কাশ্মীরের ছবি একটুও বদলায়নি। বিশ্ব রাজনীতি এই নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। জাতীয় রাজনীতিও সরগরম। বুরহান ওয়ানির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যে আগুন জ্বলে উঠেছিল, নিরাপত্তাবাহিনীর ছোড়া পেলেটে যে ভাবে বাচ্চা থেকে বুড়ো আহত হয়েছিলেন, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা হয়। পেলেটের ব্যবহার নিয়েও কথা ওঠে। বিক্ষোভকারীদের থামাতে পেলেট নয়, পাভা শেলের বিষয়েও ভাবনা চিন্তা শুরু করে কেন্দ্র।
আরও খবর...
বিধায়ক পরিবারে সংঘর্ষের জেরে গ্রেফতার আক্রান্ত ভাই
আরও পড়ুন: এ বার দুর্গা মা নতুন রূপে আনন্দ উৎসবে