অনুমতি মিলল না জিগ্নেশের সভারও

উমর খালিদের পরে জিগ্নেশ মেবাণী। উমরের মুম্বইয়ের সভার মতো আগামিকাল জিগ্নেশের দিল্লির সভাও অনুমতিও দিল না কেন্দ্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৩৭
Share:

ছবি: পিটিআই।

উমর খালিদের পরে জিগ্নেশ মেবাণী। উমরের মুম্বইয়ের সভার মতো আগামিকাল জিগ্নেশের দিল্লির সভাও অনুমতিও দিল না কেন্দ্র।

Advertisement

শিক্ষা, চাকরি, দলিত-সংখ্যালঘুদের উপরে হামলার মতো নানা বিষয় নিয়ে কাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে ঘোষণা করেন জিগ্নেশ। প্রথমে সংসদ মার্গে জনসভা ও তার পর মিছিল (যুব হুঙ্কার র‌্যালি) করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা ছিল। সংসদ মার্গ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর পর্যন্ত মিছিল করলে এলাকায় জারি থাকা ১৪৪ ধারার জন্য এমনিই আটক হতেন জিগ্নেশরা। আজ দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, সামনেই প্রজাতন্ত্র দিবস। রাজপথ ও সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তার কথা ভেবে অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না। তবে আজ রাত পর্যন্ত উদ্যোক্তাদের দাবি, পুলিশ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি। জেএনইউ সূত্রের খবর, কাল ছাত্রছাত্রীদের একাংশ সংসদ মার্গে পৌঁছনোর চেষ্টা করবে। তবে জিগ্নেশ বা কংগ্রেস সাংসদ অখিল গগৈইরা থাকবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।

এই সভা বাতিল করলে তার তীব্র প্রতিক্রিয়া হবে বলে বিজেপির একাংশ মনে করলেও অমিত শাহ-সহ বেশির ভাগ নেতা তাঁকে আটকানোর পক্ষে। কারণ দিল্লিতে জিগ্নেশ একা নয়। কানহাইয়ার নেতৃত্বে জেএনইউ পড়ুয়াদের বিশাল বাহিনীরও মিছিলে যোগদানের কথা ছিল। যাঁরা পুলিশের সঙ্গে সংঘাতেও যেতে পারেন। দ্বিতীয়ত, মহারাষ্ট্রের আন্দোলনে জিগ্নেশের সঙ্গে ছিলেন সলমন নিজামি নামে এক মুসলিম নেতা, যাঁর বিরুদ্ধে জঙ্গি-যোগের অভিযোগ এনেছে কেন্দ্র। মঙ্গলবারও মুসলিম ছাত্র নেতাদের আসার কথা ছিল। যাতে কিছুটা আতঙ্কে মোদী-শাহ। কারণ দলিত ও মুসলমান ভোটব্যাঙ্ক জুড়তে পারে— আশঙ্কায় ভুগছে সঙ্ঘ পরিবার। মায়াবতীদের পিছনে পাঠিয়ে যে ভাবে জিগ্নেশরা উঠে আসছেন তাতে উদ্বেগে বিজেপি।

Advertisement

আরও পড়ুন: বছরভর চিনের সঙ্গে যোগাযোগ

অন্য দিকে জিগ্নেশের পিছনে যে রাহুল গাঁধীরই মস্তিষ্ক, সে ব্যাপারে নিশ্চিত মোদী-শাহ। এখন তাই জিগ্নেশকে নিয়ে দড়ি টানাটানি। কেরলের সিপিএম নিয়ন্ত্রিত সংগঠন পিকেএস তাঁকে সভা করতে আমন্ত্রণ জানায়। জিগ্নেশ রাজিও হন। কিন্তু কেরলে কংগ্রেস-সিপিএম সংঘাতের কথা মাথায় রেখে পরে রাহুলের অনুরোধে সফর বাতিল করেন। কেজরীবালও তাঁকে আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু অজয় মাকেনের সঙ্গে আপ-এর বিরোধিতার কারণে জিগ্নেশ আপ থেকেও দূরে। ইয়েচুরিও চান পশ্চিমবঙ্গে, ত্রিপুরায় সিপিএম-কে চাঙ্গা করতে যদি জিগ্নেশকে পাওয়া যায়। জিগ্নেশ নারাজ। কারণ জিগ্নেশদের মতে, কংগ্রেসে ছাড়া বিজেপি বিরোধী অন্য দলকে এখন হাওয়া দিলে লাভ হবে বিজেপিরই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন