—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
কাশির ওষুধ খাওয়ার পর মধ্যপ্রদেশের ১৪টি শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় এ বার সিবিআই তদন্তের দাবি উঠল। অভিযোগ, ওই সংশ্লিষ্ট ওষুধে ‘বিষাক্ত’ পদার্থ ছিল। তার ফলেই শিশুদের কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হল।
শুধু সিবিআই তদন্ত নয়, দেশব্যাপী সমস্ত ‘বিষাক্ত’ কাশির ওষুধ নিষিদ্ধ করার আবেদনও জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হোক। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন মামলাকারীর। তবে কবে এই মামলার শুনানি, তা এখনও জানা যায়নি।
বিতর্কিত কোল্ডরিফ সিরাপটিকে পরীক্ষার জন্য গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছিল। শুক্রবার সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। দেখা গিয়েছে, ওই সিরাপে রয়েছে ৪৮.৬ শতাংশ ডাই-ইথাইল গ্লাইকল (ডিইজি)। এটি একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ, যা কিডনি বিকল করে দিতে পারে। ঘটাতে পারে মৃত্যুও। মধ্যপ্রদেশের মৃত শিশুদের ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার এ বিষয়ে বিশদ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি, যে চিকিৎসকের লিখে দেওয়া ওষুধ খেয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশে শনিবারই কোল্ডরিফ সিরাপ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই বিতর্ক কেবল একটি রাজ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। তার আগে রাজস্থান সরকারও পদক্ষেপ করেছে। কেসন ফার্মা নামের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার সরবরাহ করা কাশির সিরাপ-সহ ১৯টি ওষুধ বিক্রি আপাতত স্থগিত রেখেছে সে রাজ্যের সরকার। রাজস্থানে নিম্নমানের সিরাপ খেয়ে মৃত শিশুর সংখ্যা দুই। অনেকেই এখনও অসুস্থ। ড্রাগ কন্ট্রোলার (ওষুধের মান পরীক্ষক এবং নিয়ন্ত্রক) রাজারাম শর্মাকে সাসপেন্ড করেছে রাজস্থান সরকার। কী ভাবে ওই ওষুধগুলি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হল, তা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কোল্ডরিফ নিষিদ্ধ করেছে কেরল সরকারও।