তীর্থযাত্রীদের জন্য এ বার ‘আস্থা সার্কিট স্পেশ্যাল ট্রেন’ ছাড়বে হাওড়া থেকে। দিন ঠিক হয়েছে ২০ এপ্রিল। হাওড়া থেকে রওনা হয়ে গয়া, হরিদ্বার, মথুরা, বৃন্দাবন ঘুরতে ঘুরতে বৈষ্ণোদেবী পৌঁছবে ট্রেনটি। তার পর সোজা হাওড়ায় ফিরবে একই পথে।
সফরসূচি মোট ১০ রাত ১১ দিনের। পুণ্যার্থীদের জন্য প্যাকেজও দিচ্ছে আইআরসিটিসি (ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন)। মাথাপিছু খরচ প্রায় ১০ হাজার টাকা। এর মধ্যে স্লিপার ক্লাসের ভাড়া, রোজ তিন বেলা নিরামিষ ভোজন, কোথাও ধর্মশালায় থাকা, দ্রষ্টব্য ঘুরে দেখা, যাবতীয় মন্দির দর্শনের খরচ ধরা আছে।
এই প্রথম হাওড়া থেকে এমন একটি বিশেষ ট্রেন ছাড়তে চলেছে। আগে কখনও কলকাতা বা তার আশপাশ থেকে পুণ্যার্থীদের জন্য বিশেষ ট্রেন ছাড়েনি। গুয়াহাটি থেকে পুরী, দ্বারভাঙা থেকে তিরুপতি, পুরী থেকে বৈষ্ণোদেবী ‘আস্থা সার্কিট স্পেশ্যাল ট্রেন’ চলেছে। গুয়াহাটি থেকে পুরীর ট্রেনে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্টেশন থেকে যাত্রীরা উঠতে পারতেন। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের মানুষ সেই সুযোগ পাননি। এ বার পাবেন, এমনটাই জানাচ্ছে আইআরসিটিসি।
বৈষ্ণোদেবীর পথে রওনা হওয়ার জন্য এ মাসের ১৭-১৮ তারিখে ট্রেনটি হাওড়ায় পৌঁছবে বলে আইআরসিটিসি সূত্রের খবর।
তার পরে তীর্থপথে যাত্রা ২০ তারিখে। আইআরসিটিসি-র পূর্বাঞ্চলের গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র জানান, ৬৩০ জন যাত্রী প্যাকেজ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। ট্রেনের ন’টি কামরা নির্দিষ্ট থাকবে তাঁদের জন্য। প্যাকেজ না-নিলেও বা তীর্থযাত্রী না-হলেও ওই পথ ধরে যাওয়ার জন্য বিশেষ ট্রেনটিতে ওঠা যাবে। সেই সব যাত্রীর জন্য আলাদা ছ’টি কামরা থাকছে। থাকছে প্যান্ট্রিকারও।