একে আদালত চত্বর। এর উপরে পুলিশের শাখা। সেই প্রসিকিউশন ইন্সপেকটরের (পিআই) অফিসে চোর ঢোকে গত কাল। তাও কোনও দামী জিনিসপত্র নেয়নি চোরের দল। মামলার নথিপত্র হাতিয়ে নেওয়াও উদ্দেশ্য ছিল না তাদের। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা নিয়ে গিয়েছে একটি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ ও তিনটি হ্যান্ড-গ্রেনেড।
চুরির খবর পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে দেখা যায়, সবই ঠিক আছে। নেই কেবল পুলিশের জিম্মায় থাকা একটি নাইন এমএম পিস্তল। পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ সেটির সঙ্গেই ছিল। পরে ধরা পড়ে তিনটি হ্যান্ড-গ্রেনেডও রাখা ছিল আদালত চত্বরের মালখানায়।
পুলিশের পিস্তলটি ছিল জেলা গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রকল্প নির্দেশকের দেহরক্ষী সুশান্ত নাথের নামে। ২০১০ সালে গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই প্রকল্প নির্দেশকের গাড়ি চালকের মৃত্যু হলে সুশান্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তখনই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল পিস্তলটি। চার বছর পরে আদালত সুশান্তকে নির্দোষ বলে রায় দেয়। কিন্তু বাজেয়াপ্ত পিস্তল নিয়ে কিছু জানায়নি। ফলে পিস্তল মালখানাতেই থেকে যায়।
এর মধ্যে সুশান্ত চাকরিতে পুনর্বহাল হয়েছেন। পুলিশ সুপারের অফিসে নিরস্ত্র কাজকর্মে নিয়োজিত তিনি। আদালতের রক্ষী, পুলিশ কনস্টেবল মইনুল হক লস্কর জানান, ভোর পৌনে চারটে পর্যন্ত তিনি বসেছিলেন গেটের সামনে। ভোরের আলো ফুটতে থাকায় পর এদিক-ওদিক হাঁটছিলেন। তখনই ওই ঘটনা ঘটতে পারে। রাতের টহলদারি দলও শেষ রাতে মইনুলকে বসে থাকতে দেখে গিয়েছে। ডেপুটি পুলিশ সুপার সুধাংশুকুমার দাস জানিয়েছেন, তদন্তে নেমেছেন তাঁরা। রহস্যভেদ করে এই পিস্তল উদ্ধারে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েছেন।
সাধারণ মানুষ একের পর এক ঘটনায় আতঙ্কে। বিশেষ করে আদালত চত্বরের পুলিশি জিম্মা থেকে পিস্তল চুরির ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে সকলের।