এই রহস্য সমাধানে ফেলুদা-ব্যোমকেশ দু্’জনকে দরকার!
রাহুল গাঁধী বলেছিলেন, কর্নাটকে জেডি(এস) হল বিজেপির বি-টিম। আজ নরেন্দ্র মোদী বেঙ্গালুরু থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে টুমকুরুর জনসভায় বললেন, আড়ালে জেডি(এস)-এর সঙ্গে কংগ্রেসের আঁতাত হয়েছে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার দল জেডি(এস)-এর সঙ্গে কার আঁতাত? বিজেপি না কংগ্রেস? বিজেপি বা কংগ্রেস, কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে জেডি(এস) কাকে সমর্থন করবে? কংগ্রেস, বিজেপি, জেডি(এস)— ত্রিমুখী লড়াইয়ের এই রহস্য এ বার নতুন।
কংগ্রেসের ব্যাখ্যা, বিজেপি ও জেডি(এস)-এর মধ্যে কোথাও সরাসরি লড়াই নেই। বিজেপির জোর উত্তর ও মধ্য কর্নাটকের লিঙ্গায়ত ভোট। জেডি(এস)-এর ভোক্কালিগা ভোটব্যাঙ্ক দক্ষিণ কর্নাটকে। ভোটের পরে জেডি(এস)-এর সমর্থন মিলবে কি না, তা নিয়ে বিজেপি নিশ্চিত নয়। এই অবস্থায় বিজেপি চাইছে, রাজ্যের ১৩ শতাংশ মুসলিম ভোটের একটা অংশ যাতে জেডি(এস) পায়। সে ক্ষেত্রে ধাক্কা খাবে কংগ্রেস। তাই দেবগৌড়াকে এমন আক্রমণ মোদীর।
বেঙ্গালুরুতে গুজব, আসলে জেডি(এস) পরিবারের দুই কান্ডারি দু’দিকে ঝুঁকে। দেবগৌড়া-পুত্র এইচ ডি কুমারস্বামী বিজেপির সঙ্গে জোট গড়তে চান। ২০০৬-এ বাবার আপত্তি সত্ত্বেও বিজেপির সমর্থন নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হন। এ বারও সেই স্বপ্ন রয়েছে তাঁর। কুমারস্বামীর দাবি, তিনি ‘কিংমেকার’ নন। নিজেই ‘কিং’ হবেন। কিন্তু দেবগৌড়ার হুঁশিয়ারি, ফের বিজেপি-সঙ্গ করলে তিনি কুমারস্বামীকে ত্যাজ্যপুত্র করবেন! বর্তমান কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এককালে জেডি(এস)-এ দেবগৌড়ার ভাবশিষ্য ছিলেন। দেবগৌড়া তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করলে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। তা হলে কি গুরু-শিষ্য পুনর্মিলনের সম্ভাবনা আছে? সে সম্ভাবনাও মানছেন না দেবগৌড়া।
এর মধ্যেই আসরে মোদী। দেবগৌড়ার দলকে বিজেপির বি-টিম বলায় দু’দিন আগেই রাহুলের কড়া সমালোচনা করেছিলেন মোদী। দেবগৌড়াকে দেশের প্রবীণ, সম্মাননীয় নেতা বলে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথাও সে দিন প্রচারও করেছিলেন। জেডি(এস)-বিজেপি আঁতাতের তত্ত্বে যখন সিলমোহর পড়তে চলেছে, তখন সব গুলিয়ে দিলেন মোদীই। টুমকুরুর সভায় বললেন, “কংগ্রেস ও জেডি(এস)-এর আঁতাতের কথা জেনে রাখুন। এরা লড়াইয়ের ভান করলেও বেঙ্গালুরু পুরসভাতেই কংগ্রেসের মেয়রকে সমর্থন করছে জেডি(এস)।”