৩৫এ-র পাশে মোদী, দাবি করলেন মেহবুবা

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, সেই প্রসঙ্গেই বৈঠক ছিল আজ। কিন্তু দু’জনের ঠিক কী কথা হয়েছে, তা বিশদ জানা যায়নি। বৈঠকের শেষে মেহবুবা সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৭ ০৩:১৩
Share:

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদায় কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করা হবে না— প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই আশ্বাস দিয়েছেন বলে আজ দাবি করলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।

Advertisement

গত কালই দিল্লি এসেছেন তিনি। আজ সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, সেই প্রসঙ্গেই বৈঠক ছিল আজ। কিন্তু দু’জনের ঠিক কী কথা হয়েছে, তা বিশদ জানা যায়নি। বৈঠকের শেষে মেহবুবা সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, কাশ্মীরে বিজেপি-পিডিপি জোটের ঘোষণাপত্রের যে মূল বিষয়, সেই ৩৭০ ও ৩৫এ ধারাকে রক্ষা করা হবে এবং কোনও অবস্থাতেই বিরোধিতা করা হবে না।

বিজেপি বরাবরই দাবি করেছে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে দিতে হবে। তাতে বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারে বিজেপির জোটসঙ্গী পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিও পাল্টা জানিয়ে ছিলেন, ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বাতিলের সম্ভাবনা তৈরি হলেই তারা আন্দোলনের পথে হাঁটবেন। গত মঙ্গলবার প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আবদুল্লার বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন মেহবুবা। সূত্রের খবর, তিনিই মেহবুবাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কথা বলতে। গত কাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গেও দেখা করেন মেহবুবা।

Advertisement

সংবিধানের ৩৫এ ধারা অনুযায়ী কাশ্মীরের সরকার ঠিক করে, সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা কারা। ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দাদের কাশ্মীরে জমি কিনে বসবাসের অধিকার নেই। ভোটদান, রাজ্যের দেওয়া স্কলারশিপ, সরকারি চাকরির অধিকারও ওই স্থায়ী বাসিন্দাদেরই। এই ধারা বাতিলের দাবিতে ২০১৪ সালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায়। শীর্ষ আদালত সেই আবেদন গ্রহণও করে। কেন্দ্রের কাছে এ বিষয়ে জবাব চাওয়া হলে তারা জানায়, ধারাটিকে অসাংবিধানিক ঘোষণার আগে ‘দীর্ঘ আলোচনার’ প্রয়োজন রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন