Mann Ki Baat

চায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিলই, কফির স্বাদও এ বার মোদীর ‘মন কী বাত’-এ! তুললেন বন্দে মাতরমের দেড়শ বছরের প্রসঙ্গও

মোদীর কথায়, ‘‘কঠিন সময়ে ভারতের ১৪০ কোটি ভারতবাসীকে একত্রিত করার ক্ষমতা রাখে এই বন্দে মাতরম ধ্বনিটি।’’ তার পরেই স্বাধীনতা সংগ্রামে ‘বন্দে মাতরম’-এর রচয়িতা বঙ্কিমচন্দ্রের অবদানের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৩৬
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।

চায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্কের কথা অজানা নয়। তবে কফির প্রতি তাঁর ভালবাসা নিয়ে এ বার মুখ খুললেন তিনি। দেশের বিভিন্ন জায়গার কফির স্বাদ ছড়িয়ে দিলেন ‘মন কী বাত’ অননুষ্ঠানে। একই সঙ্গে রবিবারের অনুষ্ঠানে ‘বন্দে মাতরম’ রচনার কথা শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে।

Advertisement

‘বন্দে মাতরম’ রচনার সার্ধশতবর্ষ পালনের ঘোষণা আগেই করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই বিষয়টি উল্লেখ করে দেশবাসীকে ‘বন্দে মাতরম’ রচনার সার্ধশতবর্ষ পালনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান মোদী। ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কথাও বলেন তিনি।

কেন্দ্রীয় সরকার ‘বন্দে মাতরম’ রচনার সার্ধশতবর্ষ পালনের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। সেই কথা উল্লেখ করে মোদী বলেন, ‘‘বন্দে মাতরমের ঐতিহ্য এবং গৌরবকে সম্মান জানাতে সকলের অবদান থাকা উচিত।’’ প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘বন্দে মাতরম ভারতের জাতীয় গান। এমন একটি গান, যার প্রথম শব্দই আমাদের মন উদ্বেলিত করে। বন্দে মাতরম— এই শব্দে অনেক আবেগ রয়েছে, অনেক শক্তি রয়েছে।’’

Advertisement

মোদীর কথায়, ‘‘কঠিন সময়ে ভারতের ১৪০ কোটি ভারতবাসীকে একত্রিত করার ক্ষমতা রাখে এই বন্দে মাতরম ধ্বনিটি।’’ তার পরেই স্বাধীনতা সংগ্রামে ‘বন্দে মাতরম’-এর রচয়িতা বঙ্কিমচন্দ্রের অবদানের কথা তুলে ধরেন মোদী। তিনি মনে করেন, ব্রিটিশ সরকারের শাসনকালে দুর্বল হয়ে পড়া ভারতে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছিল ‘বন্দে মাতরম’। উল্লেখ্য, বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসের অংশ হিসাবে ‘বন্দে মাতরম’ গানের প্রকাশকাল ১৮৮২ সাল। কিন্তু উপন্যাস লেখার আগেই গানটি রচিত হয়েছিল।

শুধু ‘বন্দে মাতরম’ নয়, রবিবার মোদীর ১২৭তম ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে মাওবাদী দমন থেকে চা-কফির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। ওড়িশার কোরাপুট কফির স্বাদ স্মরণ করেছেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘আপনারা সকলেই জানেন চায়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কের কথা। তবে আমি ভাবলাম আজ না হয় মন কী বাতে কফি নিয়ে আলোচনা করি।’’ তার পরেই ওড়িশার কোরাপুট কফির কথা বলেন মোদী। তিনি জানান, ওই কফি সুস্বাদু। তবে শুধু স্বাদের জন্য নয়, কফি চাষেও অনেকে উপকৃত হন। কোরাপুট কফি চাষের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সকলের কথা উল্লেখ করেন মোদী। কোরাপুট কফিকে ওড়িশার গর্ব বলেও মনে করেন তিনি। শুধু ওড়িশা নয়, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, কেরল, উত্তর-পূর্ব ভারত— যে সব এলাকায় কফি চাষ হয়, সেই সব জায়গার কথা ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement