বগিবিল ব্রিজে নতুন ট্রেনের উদ্বোধন করলেন মোদী। ছবি পিটিআইয়ের সৌজন্যে।
দেশের দীর্ঘতম রেল-রোড ব্রিজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার অসমের ডিব্রুগড়ে ৪.৯৪ কিলোমিটার দীর্ঘ বগিবিল ব্রিজের উদ্বোধন হওয়ার পর অসম থেকে অরুণাচল যেতে প্রায় চার ঘণ্টা কম সময় লাগবে। ব্রহ্মপুত্র নদের উপর তৈরি এই ব্রিজের উপরে থাকবে গাড়ি চলাচলের রাস্তা ও নীচে থাকবে রেললাইন।
ব্রিজ উদ্বোধনের পাশাপাশি বগিবিল ব্রিজের উপর ট্রেন চলাচলেরও সূচনা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই সেতুর উদ্বোধনে হাজির ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল।
কৌশলগত দিক থেকেও এই সেতু ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যে কারণে এই প্রকল্পটিকে জাতীয় প্রকল্প হিসেবে ঘোষণা করে কেন্দ্র। অরুণাচল প্রদেশে ভারত-চিন সীমান্তে সামরিক সামগ্রী দ্রুত নিয়ে যাওয়ার জন্য এই সেতুর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সেতুর জন্য ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ভারত-চিন সীমাম্তের দূরত্ব অনেকটাই কমে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: নেই কোনও নাট-বোল্ট, তীব্র ভূমিকম্পও সইতে সক্ষম দেশের দীর্ঘতম এই দোতলা ব্রিজ
শুরু থেকেই এই সেতু নির্মাণ করার সময় সামরিক এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছিল। সেতুটি এমন ভাবে বানানো হয়েছে, যে আপদকালীন পরিস্থিতিতে এই সেতুতে অবতরণ করতে পারবে যুদ্ধবিমানও। একটি নয়, প্রয়োজনে বায়ুসেনার তিনটি বিমান সেতুর তিনটি অংশে একই সঙ্গে অবতরণ করতে পারবে বলে জানাচ্ছেন প্রযুক্তিবিদেরা।
উদ্বোধনের পর জন সাধারণের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রায় ১৬ বছর আগে এখানে এসেছিলেন অটলজি। বগিবিল ব্রিজ তাঁর দূরদর্শিতারই ফসল।’’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া। ২০০২ সালে প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে কাজ শুরু হয়েছিল এই সেতুর।
আরও পড়ুন: উপরে সড়কপথ, নীচে রেল! উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশের দীর্ঘতম দোতলা ব্রিজ
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)