প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা উত্তরাখণ্ড সরকারের এক সাহসী পদক্ষেপ। রবিবার দেহরাদূন থেকে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার উত্তরাখণ্ড রাজ্য গঠনের ২৫তম বর্ষপূর্তিতে দেহরাদূনে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মোদী। সেখানেই বিজেপিশাসিত উত্তরাখণ্ডে পুষ্করসিংহ ধামীর সরকারের প্রশংসা করেন তিনি।
দেহরাদূন থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ধামীর সরকার যে ভাবে গুরুত্ব দিয়ে অভিন্ন দেওয়ান বিধির বাস্তবায়ন করেছে, তা অন্য রাজ্যগুলির কাছে একটি উদাহরণ হিসাবে থাকা উচিত। জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলিতে এই রাজ্য সরকার এক সাহসী নীতি গ্রহণ করেছে।” রবিবার উত্তরাখণ্ডে ৮২৬০.৭২ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পেরও শিলান্যাস করেন মোদী। ধামী সরকারের গুণগান করার সময়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, যে ভাবে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উত্তরাখণ্ডের উন্নয়ন হচ্ছে, তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই পাহাড়ি রাজ্যটি ‘আধ্যাত্মিকতার রাজধানী’ হয়ে উঠবে।
উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ান বিধি চালু হওয়ার আগে থেকেই এ বিষয়ে বিস্তর আলোচনা শুরু হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়মবিধির পাশাপাশি আলোচনা হয়েছে সেখানে যুগলদের একত্রবাস সংক্রান্ত বিধি নিয়েও। সেখানে একত্রবাসের জন্য যুগলদের ‘রেজিস্ট্রেশন’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রবিবার উত্তরাখণ্ডের সেই অভিন্ন দেওয়ানবিধির প্রশংসার পাশাপাশি সে রাজ্যের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথাও তুলে ধরেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "২৫ বছর আগে, যখন উত্তরাখণ্ড গঠিত হয়েছিল, তখন নবগঠিত রাজ্যটিকে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। সম্পদ ছিল সীমিত। রাজ্যের বাজেটও ছিল ছোট। আয়ের উৎস ছিল খুবই কম। বেশির ভাগ চাহিদা পূরণ করার জন্য কেন্দ্রীয় সহায়তার উপর নির্ভর করতে হত। আজ সেই ছবি সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে।"