নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: টুইটার।
দুই দেশে পাঁচ দিনের ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে নিউ ইয়র্ক পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার সকালে বিমানে জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তিনি। নিউ ইয়র্কের মাটিতে তাঁকে স্বাগত জানান ভারতের রাষ্ট্রদূত অরুণকুমার সিংহ, কনসাল জেনারেল ধ্যানেশ্বর মুলে-সহ অন্যান্যরা। আগামী ২৮ তারিখ ভারতে ফিরছেন তিনি। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মার্কিন মুলুকে পাড়ি তাঁর। আপাতত দু’দিন নিউ ইয়র্কে থেকে বিভিন্ন বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন তিনি। এই দু’দিন রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার বার্ষিক অধিবেশন চলবে নিউ ইয়র্কে, রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে। এই অধিবেশনে জার্মানি, জাপান ও ব্রাজিলের সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতকে পূর্ণ সদস্য করার দাবি জানাতে চলেছেন তিনি।
এই দাবি ভারতের বহু দিনের। এ বার মোদীর বাড়তি ভরসা, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার বার্ষিক অধিবেশনে এই দাবিতে সরব হতে চেয়েছে জার্মানি, জাপান, ব্রাজিলও। কাল থেকে দু’দিনের ওই অধিবেশন শুরু হচ্ছে নিউ ইয়র্কে, রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে। ‘জি-৪’ গোষ্ঠীর এই চারটি দেশ যে শুধুই নিজেদের দাবিটা জানাবে, তা নয়, একে অন্যের দাবিকে এ বার সমর্থনও করবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাড়তি বল-ভরসার কারণ সেটাই।
প্রবাসী ভারতীদের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার আয়ার্ল্যান্ডের ডাবলিনে।
কূটনীতিকদের মতে, জার্মানি ও জাপানের মতো বিশ্ব অর্থনীতিতে আগুয়ান দুই দেশের সমর্থন এ ব্যাপারে ভারতের দাবিকে আগের চেয়ে অনেক বেশি জোরালো করে তুলবে। সাধারণ সভার অধিবেশন চলার মধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষী বাহিনীর বৈঠকেও হাজির থাকার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর।
সাধারণ সভার অধিবেশন শেষ হবে শুক্রবার। তার পর ওয়েস্ট কোস্ট রওনা হওয়ার আগে, শনিবার সকালে ‘জি-৪’ গোষ্ঠীর তিন রাষ্ট্রপ্রধান-জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফের সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠক হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেটি হবে নিউ ইয়র্কের ‘ওয়ালডর্ফ অ্যাস্টোরিয়া হোটেলে’। শনিবারই ক্যালিফোর্নিয়ায় মার্কিন বহুজাতিক সংস্থাগুলির সিইও-দের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তার পর ‘গুগ্ল’ ও ‘টেস্লা মোটরস্’-এর ক্যাম্পাসেও একটি জরুরি বৈঠকে বসার কথা মোদীর। ২৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার সান হোসে শহরে প্রবাসী ভারতীয়দের ডাকা সম্বর্ধনা সভায় যোগ দিতে যাওয়ার আগে মোদী ‘ফেসবুক’-এর সদর দফতরে যাবেন তার প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেরবার্গের আমন্ত্রণ রক্ষা করতে। সেখানে জুকেরবার্গের সঙ্গে একটি যৌথ প্রশ্নোত্তর পর্বেও হাজির থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
ছবি: পিটিআই।
এই সংক্রান্ত আরও খবর:
বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
মার্কিন সফরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হচ্ছে না মোদী-শরিফের