ফুটবলে মজেছেন মোদীও! বিশ্বকাপ ফাইনালের দিন শোনালেন সরকারের ‘লাল কার্ড’ নীতি

উত্তরপূর্ব কাউন্সিলের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। রবিবার সেখানকার একটি ফুটবল মাঠে জনসভা করেন তিনি। নিজের সরকারের লাল কার্ড নীতি তুলে ধরেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শিলং শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:০৭
Share:

শিলংয়ে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী জানালেন, বাধাবিপত্তিকে লালকার্ড দেখিয়েছে তাঁর সরকার। ছবি: পিটিআই।

ফুটবল বিশ্বকাপের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখেও ফিরে এল খেলার প্রসঙ্গ। শিলংয়ের একটি ফুটবল মাঠের জনসভায় বার বার বিজেপির উন্নয়নের খতিয়ান দিতে গিয়ে টানলেন ফুটবলের কথা। জানালেন, কাতারের মাঠে ফুটবলের প্রতিযোগিতা হচ্ছে। আর উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যে চলছে বিজেপির উন্নয়নের প্রতিযোগিতা। সমস্ত বাধাবিঘ্নকে লাল কার্ড দেখিয়েছে তাঁর সরকার।

Advertisement

উত্তর-পূর্ব কাউন্সিলের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। রবিবার সেখানকার একটি ফুটবল মাঠে জনসভা করেন তিনি। সেখানেই নিজের সরকারের লাল কার্ড নীতি তুলে ধরেন। তাঁর কথায়, ‘‘ফুটবল ম্যাচে যখন কেউ খেলোয়াড়-নীতির বিরুদ্ধে খেলেন, তখন তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বার করে দেওয়া হয়। একই ভাবে, উত্তর-পূর্বে গত ৮ বছর আমরা অনুন্নয়ন, দুর্নীতি, রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব, অস্থিরতার মতো বাধাবিপত্তিকে লাল কার্ড দেখিয়েছি।’’

প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে ক্রীড়াক্ষেত্রে উন্নয়নেরও চেষ্টা করছে সরকার। তাঁর আশ্বাস, দেশের প্রথম ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে সেখানেই। তিনি বলেন, ‘‘আজ যখন ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ হতে চলেছে, তখন শিলংয়ের ফুটবল মাঠে ফুটবল ভক্তদের মাঝে সমাবেশ করছি আমি। এটা একটা সমাপতন। সেখানে (কাতার) ফুটবলের প্রতিযোগিতা হচ্ছে। আর এখানে উন্নয়নের প্রতিযোগিতা চলছে।’’

Advertisement

তার পরেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, খুব বেশি দিন আর বিদেশি দলের জন্য উল্লাস করতে হবে না। শীঘ্রই নিজের দলের সমর্থনে গলা ফাটাবেন দেশবাসী। তাঁর কথায়, ‘‘আজ কাতারে বিশ্বকাপের ফাইনাল। আমরা বিদেশি দলের সমর্থনে উল্লাস করছি। কিন্তু আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি যে, সেই দিন আর দূরে নয়, যখন আমরা এ ধরনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের আয়োজন করব। আমাদের তিরঙ্গা উড়বে, নিজেদের দলের জন্য উল্লাস করব আমরা।’’

উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে এখন বাকি দেশের যোগাযোগ বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের আগে উত্তর-পূর্বে সপ্তাহে ৯০০টি বিমান উড়ত। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে ১,৯০০। এর ফলে সুবিধা হয়েছে কৃষকদের। খুব শীঘ্রই উত্তর-পূর্বে টেলিযোগাযোগ আরও উন্নত হবে বলেও আশ্বাস তাঁর। সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলির উন্নয়নের জন্য প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, সে কথাও জানিয়েছেন মোদী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন