অন্য পিচে: মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবটের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে ভিভিএস লক্ষ্মণ, কপিল দেব এবং সুনীল গাওস্কর। অ্যাবটকে চরকার আকারে তৈরি এই স্মারক উপহার দেন মোদী।
ক্রিকেটীয় আমেজের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল মাঝেমধ্যেই। মঙ্গলবার যেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অস্ট্রেলিয়া সফরে ক্রিকেটীয় সত্ত্বাটা প্রাণ পেল মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বিদায়ী নৈশভোজে। যেখানে বক্তৃতা দেওয়ার অভিজ্ঞতাটা মোদী বর্ণনা করলেন ক্রিকেটীয় ভাষায়। বলে দিলেন, ঐতিহাসিক এমসিজিতে বক্তৃতা দেওয়ার অভিজ্ঞতা ওই মাঠে সেঞ্চুরি করার কাছাকাছি!
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট ক্যানবেরায় যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন, তাঁর দেশের মানুষ ভারতকে চেনে ক্রিকেট দিয়েই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিয়ে তাঁর মন্তব্য ছিল, মানুষের ভরসা পাওয়ার মতো ‘রান’ রয়েছে মোদীর হাতে। মোদীও অস্ট্রেলিয়ার সংসদে বলেন, “সচিন তেন্ডুলকর এবং ডন ব্র্যাডম্যান আমাদের কাছে সমান জনপ্রিয়।’’ মোদী তাঁর বক্তৃতায় আরও বলেছিলেন, “অস্ট্রেলীয় পেস যেমন আমাদের মুগ্ধ করে, তেমনই ভারতীয় স্পিন আপনাদের। অবশ্য সেটা শেন ওয়ার্ন আসার আগে।”
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবটের সঙ্গে এই নিজস্বী মঙ্গলবার টুইটারে পোস্ট করেছেন নরেন্দ্র মোদী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের পরবর্তী ঠিকানা মেলবোর্নে অবশ্য শুধু ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা নয়, দেখা গেল আরও অনেক কিছুই। যেখানে যোগ দেন সুনীল গাওস্কর, কপিল দেব, ভিভিএস লক্ষ্মণ, অ্যালান বর্ডার, ডিন জোন্সের মতো ক্রিকেট নক্ষত্ররা। ১৬১ বছরের পুরনো এমসিজি-তে বিশ্বকাপের ট্রফির সঙ্গে পোজও দেন দুই রাষ্ট্রনেতা। সেখানে মোদী বলেন, “আমি জানি এই মাঠে ভারতের খুব ভাল রেকর্ড নেই, তবে আমরা কিন্তু ১৯৮৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিলাম এখানেই। গাওস্কর আর কপিল দেবও তো আজ এখানে আছেন। আর লক্ষ্মণ তো অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাট করতে খুব বেশি পছন্দ করত।” সঙ্গে যোগ করেন, “ঐতিহাসিক এই মাঠে বক্তৃতা দেওয়াটা ব্রেট লি, গ্লেন ম্যাকগ্রাদের সামনে এখানে সেঞ্চুরি করারই মতো। কাল ব্রেট লির সঙ্গে দেখা হল। আমার ক্রিকেট-পারফরম্যান্সের শিখর অবশ্য গুজরাত ক্রিকেট সংস্থার প্রধান হওয়া!”
নৈশভোজের আগে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্মারক উপহার দেন মোদী। মহাত্মা গাঁধীর চরকার রেপ্লিকা আর তিনটি ক্রিকেট বল দিয়ে তৈরি এই স্মারকে মোদী ও বিশ্বকাপজয়ী দুই ভারতীয় ক্যাপ্টেন কপিল দেব আর মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সই রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের উদ্যোগে ভারতে একটি ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার কথাও জানান।