মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
আগামী সপ্তাহে আরও দু’টি দেশে সফর করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথমে যাবেন ব্রিটেনে। সেখানে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তিতে (এফটিএ) স্বাক্ষর করবেন। তার যাবেন মলদ্বীপে। প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম সে দেশে যাচ্ছেন মোদী। ভারত এবং মলদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য এই সফর গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
২৩ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত চার দিনে দুই দেশে সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী। ২৩ তারিখ, বুধবার তিনি উড়ে যাবেন ব্রিটেনের উদ্দেশে । আগেই জানা গিয়েছিল, আগামী সপ্তাহে ভারত এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী মুক্ত বাণিজ্যচুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারেন। এ বার তার দিনও জানা গেল। ভারত এবং ব্রিটেনের ৯৯ শতাংশ বাণিজ্যকে প্রভাবিত করতে পারে এই চুক্তি। একাধিক পণ্যে কমবে শুল্ক। ব্রিটেন থেকে যে সমস্ত হুইস্কি, চকোলেট, গাড়ি ভারতে আমদানি করা হয়, তা কিছুটা সস্তা হবে।
২০২২ সাল থেকে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে আলোচনা চলছে। কিন্তু সে দেশে বার বার প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তিত হওয়ায় এই চুক্তি স্বাক্ষর সম্ভব হয়নি। অবশেষে আগামী সপ্তাহে এফটিএ-তে স্বাক্ষর করবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। চুক্তির ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্য দ্বিগুণ হতে পারে। চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে দুই দেশের মন্ত্রিসভার অনুমোদন লাগবে। তার পর তা কার্যকর হবে। এতে আরও এক বছর সময় লাগতে পারে।
২৫ তারিখ ব্রিটেন থেকে মলদ্বীপে যাবেন মোদী। সেখানকার ৬০তম জাতীয় দিবস (ন্যাশনাল ডে) উদ্যাপনের প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন তিনি। ২৬ তারিখে ভারতে ফিরবেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসেছিলেন মুইজ্জু। তার পরপরই ভারতের সঙ্গে ওই দ্বীপরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি হয়। চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে মুইজ্জুর। তিনি চিন সফরেও গিয়েছিলেন ক্ষমতায় আসার পরেই। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর লক্ষদ্বীপ সফরকে কেন্দ্র করে মলদ্বীপের কয়েক জন মন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। ভারত থেকে মলদ্বীপ বয়কটের ডাকও ওঠে। সেই দেশের পর্যটনে যা গুরুতর প্রভাব ফেলেছিল। মলদ্বীপ থেকে ভারতকে সেনা সরিয়ে নিতে বলেছিলেন মুইজ্জু। তবে তার পর ক্রমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। মুইজ্জুও ২০২৪ সালের অক্টোবরে ভারত সফরে এসেছিলেন। এ বার মোদী যাচ্ছেন। মোদী শেষ বার মলদ্বীপে গিয়েছিলেন ২০১৯ সালে।