টারম্যাকে মোদীই

কথা ছিল ‘মিনিস্টার ইন ওয়েটিং’ বাবুল সুপ্রিয় বিমানবন্দরে যাবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে। কিন্তু প্রোটোকল ভেঙে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই বিমানবন্দরে পৌঁছে সোজা চলে গেলেন টারম্যাকে। বিমান থেকে হাসিনা সিঁড়ি দিয়ে নামতেই উষ্ণ করমর্দন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৪৪
Share:

কথা ছিল ‘মিনিস্টার ইন ওয়েটিং’ বাবুল সুপ্রিয় বিমানবন্দরে যাবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে। কিন্তু প্রোটোকল ভেঙে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই বিমানবন্দরে পৌঁছে সোজা চলে গেলেন টারম্যাকে। বিমান থেকে হাসিনা সিঁড়ি দিয়ে নামতেই উষ্ণ করমর্দন। ফুলের তোড়া তুলে দিলেন তাঁর হাতে। চলল কয়েক মিনিটের আলাপচারিতা। হাসিনা গাড়িতে না-ওঠা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেন তিনি। পরে শেখ হাসিনাও বলেন, ‘‘ভারতের মতো এত বড় দেশের প্রধানমন্ত্রী উনি। তার পরেও যে ভাবে সময় বার করে, কষ্ট করে তিনি বিমানবন্দরে আমাকে নিতে গেলেন, আমি অভিভূত!’’

Advertisement

কাল ভারত-বাংলাদেশ শীর্ষ বৈঠকের সুরটি আজ এ ভাবেই বেঁধে দিলেন মোদী। পরে তিনি টুইট করে বলেন, ‘‘রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে আসা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে আমি খুশি। দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমরা বদ্ধপরিকর।’’

বিমানবন্দরে মোদীর পৌঁছে যাওয়ার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পাচ্ছেন কূটনীতিকেরা। তাঁদের মতে, সফরের শুরুতেই ঢাকার উদ্দেশে দরাজ বার্তা দিলেন মোদী। প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা ভারত সফরে এলে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছে গিয়েছেন— এমনটা সাম্প্রতিক অতীতে ঘটেনি। আজ মোদী বুঝিয়ে দিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভারতের অগ্রাধিকার। হাসিনার সফরে তিস্তা চুক্তি না-হওয়া নিয়ে দু’দেশের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছিল। ঘরোয়া রাজনীতিতে ‘ভারত-আনুগত্যের’ জন্য তোপের মুখেও পড়তে হচ্ছে হাসিনাকে। নরেন্দ্র মোদীর এই সৌজন্য প্রদর্শন, সফর শুরুর মুখেই মুজিব কন্যাকে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে দিল।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন