Lucknow

প্রধানমন্ত্রীর ভাই প্রহ্লাদকে ঘিরে দেড় ঘণ্টার উত্তেজনা লখনউ বিমানবন্দরে

বুধবার লখনউ বিমানবন্দরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার অভিযোগে প্রহ্লাদের প্রায় ১০০ জন সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০০:১৮
Share:

লখনউ বিমানবন্দরে ধর্নায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাই প্রহ্লাদ মোদী। ছবি: সংগৃহীত।

নিজের সমর্থকদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে লখনউ বিমানবন্দরে ধর্নায় বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাই প্রহ্লাদ মোদী। বুধবার বিকেলে ওই বিমানবন্দর চত্বরে ধর্নায় বসেন তিনি। তবে প্রথম দিকে অনশনের হুমকি দিলেও প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বিমানবন্দর থেকে চলে যান প্রহ্লাদ। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বিমানবন্দরে।

Advertisement

বুধবার লখনউ বিমানবন্দরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার অভিযোগে প্রহ্লাদের প্রায় ১০০ জন সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, বিমানবন্দরের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমায়েত করেছেন তাঁরা। যদিও সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রহ্লাদের পাল্টা দাবি, লখনউ বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে এসেছিলেন তাঁর সমর্থকেরা। এবং তাঁদের অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে বিমানবন্দর চত্বরেই ধর্নায় বসে পড়েন মোদীর ভাই তথা অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন (এআইপিএসডিএফ)-এর সভাপতি প্রহ্লাদ। তিনি বলেন, “আজ প্রয়াগরাজ যাওয়ার কথা ছিল। মঙ্গলবার থেকেই সেখানে একটি কর্মসূচি চলছে। তাতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে আমার সমর্থকেরা জেলে থাকবেন আর আমি স্বাধীন ভাবে বাইরে ঘুরে বেড়াব, এটা ঠিক নয়।” এর পরই সেখানে ধর্নায় বসেন প্রহ্লাদ। তাঁর কথায়, “লখনউ বিমানবন্দরে অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জল বা খাবার, কিছুই ছোঁব না। আমার জীবন চলে গেলেও এখান থেকে নড়ছি না।”

লখনউয়ের চৌধুরি চরণ সিংহ বিমানবন্দরের অ্যাডিশনাল জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশনস) ভূপেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, বুধবার বিকেল ৪টে নাগাদ ইন্ডিগো-র একটি উড়ানে বিমানবন্দরে আসেন প্রহ্লাদ। তাঁর পরই আইন ভেঙে জমায়েতের অভিযোগে তাঁর সমর্থকদের গ্রেফতার করা হয়। পরে যদিও তাঁদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে তার মাঝেই ধর্নায় বসে পড়েন প্রহ্লাদ। এমনকি, জল বা খাবার মুখে তোলাতেও আপত্তি জানান। ক্ষুব্ধ প্রহ্লাদ বলেন, “উত্তরপ্রদেশে এমন আইন রয়েছে কি যে এ শহরে যাঁরা আসেন, তাঁদের কেউ স্বাগত জানাতে পারবেন না? কেন আমার সমর্থকদের গ্রেফতার করা হল, তা পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। পিএমও-র নির্দেশেই নাকি এমন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশ সেই নির্দেশনামা দেখাতে পারেনি। হয় তারা পিএমও-কে বদনাম করার চেষ্টা করছে নয়তো এমন কোনও নির্দেশই দেওয়া হয়নি!”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন