Farmers Protest

সেলিব্রিটিদের তড়িঘড়ি মন্তব্য অনুচিত, রিহানা-থুনবার্গের সমালোচনা ভারতের

বুধবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে রিহানা এবং থুনবার্গের নামোল্লেখ না করে তাঁদের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:১০
Share:

৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে সরব হয়েছেন রিহানা এবং থুনবার্গ। ছবি: সংগৃহীত।

Advertisement

কৃষক আন্দোলনের পক্ষে আন্তর্জাতিক স্তরে সুর চড়া হতেই তার সমালোচনা করে একে ‘স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর সমর্থন’ বলে দাবি করল ভারত। পপস্টার রিহানা বা পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের মতো সেলিব্রিটির কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরব হওয়াকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিল বিদেশ মন্ত্রক।

৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে মঙ্গলবার রাতে টুইট করেন রিহানা এবং থুনবার্গ। তা ঘিরে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায় সমাজমাধ্যমে। পাশাপাশি, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-ভাঙচুর দেখা যায়। বুধবার এ নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। তাতে সেলিব্রিটিদের নামোল্লেখ না করে তাঁদের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব লিখেছেন, ‘কোনও বিষয়ে তড়িঘড়ি মন্তব্য করার আগে তথ্যগুলি সুনির্দিষ্ট ভাবে জেনে নেওয়ার অনুরোধ করব। যে বিষয়ে কথা বলা হচ্ছে, তা সুস্পষ্ট ভাবে বোঝাও উচিত। সমাজমাধ্যমে আলোড়ন তোলা হ্যাশট্যাগ বা মন্তব্যের প্রলোভন যখন থাকে, বিশেষ করে যদি কোনও সেলিব্রিটি তা করেন, তবে তা নির্ভুল বা দায়িত্বসম্পন্ন হয় না’।

নরেন্দ্র মোদী সরকারের ৩ কৃষি আইনের পক্ষেও সরব হয়েছে মন্ত্রক। কৃষকদের স্বার্থেই তা করা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কৃষি আইনের সংস্কারের বিরুদ্ধে ভারতের কয়েকটি প্রান্তের অত্যন্ত ক্ষুদ্র অংশের কৃষকেরাই বিরোধিতা করছেন। প্রতিবাদীদের ভাবাবেগকে সম্মান জানিয়ে ভারত সরকার এ নিয়ে দফায় দফায় তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে’। পাশাপাশি, ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,এ বিষয়ে মদভেদের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই ৩ কৃষি আইন যে বলবৎ হবে না, সে নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

রিহানা বা থুনবার্গের পাশাপাশি বিশ্বের নানা প্রান্তে কৃষি আইন নিয়ে বিক্ষোভেরও সমালোচনা করেছে ভারত। আমেরিকায় বিক্ষোভকারীদের মহাত্মা গাঁধীর মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনাকে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কাজ বলে দাবি করেছে বিদেশ মন্ত্রক। বিবৃতিতে অনুরাগ লিখেছেন, ‘ভারতের বিরুদ্ধে আন্তজার্তিক স্তরে সমর্থন জোটানোর চেষ্টা করছে কয়েকটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। বিশ্বের কয়েকটি প্রান্তে এ ধরনের গোষ্ঠী মহাত্মা গাঁধীর মূর্তি কলুষিত করেছে। এটা ভারতের তো বটেই, যে কোনও সভ্য সমাজের পক্ষেও অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়’।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন