National News

‘একটি পরিবারকে তুলে ধরতেই নেতাজিকে উপেক্ষা করেছে কংগ্রেস’

প্রধানমন্ত্রী মোদী এ দিন বলেন, ‘‘নেতাজিই প্রথম পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার পর দীর্ঘ কয়েক দশকের কংগ্রেসি শাসনে দেশের পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে উপেক্ষা করা হয়েছে। ওই সব অঞ্চলের মানুষ বঞ্চনার শিকার হয়েছেন।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৮ ১৫:৩৮
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লির লাল কেল্লায়, রবিবার। ছবি- পিটিআই।

পাঁচ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ও লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে রবিবার দিল্লির লাল কেল্লায় আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানটিকে কংগ্রেস বিরোধী প্রচারের হাতিয়ার করে তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নেহরু-গাঁধী পরিবারের নামোল্লেখ না করে বললেন, ‘‘শুধুই একটি পরিবারকে তুলে ধরার লক্ষ্যে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও তার পর নতুন দেশ গড়ে তোলার ব্যাপারে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভীম রাও অম্বেডকর ও সর্দার বল্লভভাই পটেলের অবদানকে ইচ্ছাকৃত ভাবেই অস্বীকার, উপেক্ষা আর ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস।’’

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী মোদী এ দিন বলেন, ‘‘নেতাজিই প্রথম পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার পর দীর্ঘ কয়েক দশকের কংগ্রেসি শাসনে দেশের পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে উপেক্ষা করা হয়েছে। ওই সব অঞ্চলের মানুষ বঞ্চনার শিকার হয়েছেন।’’

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই ব্রিটিশদের কার্যত, নকল করেই ভারত শাসন করেছে কংগ্রেস। দেশের উন্নয়ন আর তার জন্য অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলিকে দেখা হয়েছে ব্রিটিশদের পরানো চশমা দিয়ে। সে জন্যই শিক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রকে দারুণ ভাবে ভুগতে হয়েছে।’’

Advertisement

আজাদ হিন্দ ফৌজের টুপি পরেই এ দিন ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে আজাদ হিন্দ সরকার গঠনের ঘোষণার ৭৫তম বার্ষিকী উদ্‌যাপনের পর একটি স্মারক-ফলকের আবরণ উন্মোচন করেন তিনি। আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনাদের বিচার হয়েছিল যেখানে লাল কেল্লার সেই তিন নম্বর ব্যারাকেই ওই ফলকটি রাখা হয়েছে। ওই ব্যারাকেই হবে একটি জাতীয় পুলিশ মেমোরিয়াল। এ দিন তারও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- অন্ধকারে হাতড়াচ্ছে দিল্লি, এ বারও ধোঁয়াশায় শ্বাসবন্ধের শঙ্কা​

আরও পড়ুন- ঘুরিয়ে গাঁধী পরিবারকেই ফের তোপ দাগলেন মোদী​

লাল কেল্লায় তাঁর ভাষণে এ দিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পর সর্দার বল্লভভাই পটেল, ভীম রাও অম্বেডকর ও নেতাজির দেখানো পথে হাঁটলে দেশের অনেক বেশি উপকার হত। যে কাজটা এখন আমার সরকার করে চলেছে। নেতাজির সরকার শুধুই নামে ছিল না, তার নিজস্ব ব্যাঙ্ক, নিজস্ব মুদ্রা ছিল। ছিল নিজস্ব স্ট্যাম্প, নিজস্ব গোয়েন্দা ব্যবস্থা।’’

জাতীয় পুলিশ মেমোরিয়াল গঠন নিয়েও এ দিন কংগ্রেসের কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বলেন, ইউপিএ সরকার এই মেমোরিয়াল গড়ার প্রস্তাব দীর্ঘ দিন ফেলে রেখে দিয়েছিল। মোদীর ঘোষণা, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে গুরুত্বপূর্ণ কাজের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর থেকেই ওই পুরস্কার দেওয়া হবে পুলিশকর্মীদের। আর তার ঘোষণা করা হবে আগামী ২৩ জানুয়ারি, নেতাজির জন্মদিনেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন