নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
যতই জটিল হচ্ছে নীরব মোদী-কাণ্ড, ততই সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা।
মঙ্গলবার মেঘালয়ে ভোট প্রচারে গিয়ে ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে ফের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে বিঁধেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। মালদহে প্রশাসনিক বৈঠকে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন তুরায় ‘জনসম্পর্ক’ অনুষ্ঠানে রাহুল বলেন, ‘‘নীরব মোদী অনেককে সুন্দর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারও সুখস্বপ্নে বিভোর ছিল। সেই ঘুমের সুযোগে জনতার কষ্টার্জিত অর্থ নিয়ে নীরব বিদেশে পালিয়েছেন। আর এক জন মোদী, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও মানুষকে অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছেন। আচ্ছে দিন-এর স্বপ্ন বিক্রি করেছেন। সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, ২ কোটি মানুষের চাকরির স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তার পর ধোঁকা দিয়েছেন।’’
প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে রাহুলের মন্তব্য, ‘‘আমাদের সকলের তরফ থেকে মোদীজিকে একটা অনুরোধ। তাঁর অসংখ্য বিদেশ সফরের পরেরটিতে যখন যাবেন, তখন দয়া করে অন্য মোদীকে সঙ্গে নিয়ে ফিরবেন।’’
অন্য দিকে মালদহে মমতার অভিযোগ, পিএফ, ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার কমানো হচ্ছে, আর ব্যাঙ্ক থেকে সাধারণ মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা টাকা লুঠ করে নিচ্ছে কিছু ব্যক্তি। আর তাদের রক্ষা করছে বিজেপি সরকার। তাঁর কথায়, ‘‘কে পার্টিকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দেবে, তার জন্য ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স বারবার ডেকে পাঠাচ্ছে। আর যারা ব্যাঙ্ক লুঠ করে চলে যায়, তাদের কেন্দ্র রাজভোগ, রসকদম্ব খাওয়াবে!’’
নীরব-কাণ্ডে নরেন্দ্র মোদীর নীরবতা নিয়েও এ দিন ফের প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘মোদীজি দু’ঘণ্টা ধরে বাচ্চাদের পরীক্ষায় পাশ করা শেখাতে পারেন, কিন্তু এত বড় কেলেঙ্কারির জবাব দেওয়ার মতো সময় তাঁর নেই। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এত বড় কেলেঙ্কারি সম্ভব নয়। মোদীজিকে এক জবাব দিতেই হবে।’’ মমতাও ব্যাঙ্ক লুঠের ঘটনার যথাযথ তদন্ত দাবি করে বলেছেন, ‘‘সঠিক ব্যবস্থা নিলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসবে।’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য পাল্টা আঙুল তুলেচেন মমতার দিকেই। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ইউপিএ সরকারের আমলে এই দুর্নীতির শুরু। মমতা সেই সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। তা হলে উনি দায়িত্ব এড়ান কী করে?’’