Allama Iqbal

‘সারে জঁহা সে অচ্ছা’র স্রষ্টাকে এ বার নিশানা মোদী সরকারের! পাঠ্যক্রম থেকে বাদ ইকবাল?

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল প্রয়াত কবির জীবনী ও সাহিত্য রচনা সম্পর্কিত ‘ইকবাল: কমিউনিটি’ অধ্যায়টি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে পরিচালন পর্ষদের কাছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৩ ১০:১৫
Share:

এ বার কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম থেকে বাদ পড়তে চলেছেন প্রয়াত কবি ইকবাল। ফাইল চিত্র।

মোগল যুগের পর এ বার নরেন্দ্র মোদী সরকারের কোপে উর্দু কবি মহম্মদ ইকবাল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল শুক্রবার স্নাতক স্তরের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠ্যক্রম থেকে ‘সারে জঁহা সে অচ্ছা, হিন্দুস্থাঁ হামারা’-র স্রষ্টার জীবনী বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Advertisement

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মডার্ন ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল থট’ শিরোনামের অধ্যায়টি বিএ-এর ষষ্ঠ সিমেস্টারের অংশ ছিল। তার মধ্যেই ছিল প্রয়াত কবির জীবনী এবং সাহিত্য রচনা সম্পর্কিত ‘ইকবাল: কমিউনিটি’ অধ্যায়টি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সেটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে পরিচালন পর্ষদের কাছে। কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিচালন পর্ষদ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

তবে ইকবালের উপর ‘কোপ’ পড়ার উদ্যোগ শুরু হলেও ষষ্ঠ সিমেস্টারে রয়ে গিয়েছেন, রামমোহন রায়, পন্ডিতা রমাবাই, স্বামী বিবেকানন্দ, মহাত্মা গান্ধী এবং বিআর অম্বেডকর।

Advertisement

১৮৭৭ সালে অবিভক্ত ভারতের শিয়ালকোটে (বর্তমানে পাকিস্তানে) ইকবালের জন্ম। মৃত্যু ১৯৩৮ সালে। দুই দেশেই সমাদৃত। পাকিস্তান জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়েছে তাঁকে। প্রথম জীবনে উর্দুকে কাব্য রচনার ভাষা হিসেবে বেছে নিলেও পরবর্তী সময়ে ফার্সি হয়ে উঠেছিল তাঁর লেখনীর মাধ্যম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সমকালীন কবি ইকবালের কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ পড়ে প্রশংসা করেছিলেন। পণ্ডিত রবিশঙ্কর ভারতীয় সেনার জন্য তৈরি করেছিলেন ‘সারে জঁহা সে অচ্ছা’র কুচকাওয়াজ-সংস্করণের সুর।

প্রসঙ্গত, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত সিবিএসইর দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাসের পাঠ্যক্রম থেকে মোগল যুগ বাদ গিয়েছে। ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি)-এর পাঠ্যপুস্তক থেকে মোগল যুগ ‘কাটছাঁটের’ কাজও হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইতিহাসবিদদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, মেরুকরণের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন